নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের ধনাচাপুর গ্রামে ইভটিজিংয়ের ঘটনায় উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে একজন নিহত এবং পাঁচজন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১০ জুন) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানা গেছে।
আহতরা হলেন- সাইদুল ইসলাম (৪৫), হাবিবুর রহমান (৩২), আনিছুর রহমান (৪৩), সম্রাজ (৫৫), খোদেজা (৩২)। এদের মধ্যে রাত আনুমানিক সোয়া ৮টার দিকে গুরুতর আহত মৃত চান মিয়া ফকিরের ছেলে আনিছুর রহমান (৪৩) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
অন্যদিকে অভিযুক্তরা হলেন- মো. সিদ্দিক মিয়া (৪০), আমিন (১৭), মনির (২৬), সজিব (২৭), কালাম (৪০), সালাম (৩৬) সহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে ধনাচাপুর গ্রামের সাইদুল ইসলামের বাড়ির সামনে পরিবারের কিছু নারী সদস্য দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় একই এলাকার সাদেক মিয়ার ছেলে আমিন (২৪) এবং বাচ্চু মিয়ার ছেলে সজিব (৩০) সহ কয়েকজন যুবক ওই নারীদের উদ্দেশ্যে অশ্লালীন মন্তব্য করতে থাকে এবং গান গেয়ে ইভটিজিং করে।
নারী সদস্যদের প্রতিবাদের পর স্থানীয়রা তাদের সরিয়ে দেয়। কিন্তু এর মাত্র ১০ মিনিট পর মৃত আরমুজ আলীর ছেলে মো. সিদ্দিক মিয়ার নেতৃত্বে ১০-১৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল দেশীয় অস্ত্রসহ সাইদুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে এবং নারী-পুরুষ নির্বিশেষে পরিবারের সদস্যদের মারধর করে গুরুতর আহত করে।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলছে। নিহত ব্যক্তির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।