দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি –
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে টিকার সরঞ্জাম গেলেও সেখানে যাননি দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্য সহকারী মো. হযরত আলী। এ ঘটনায় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর সেই স্বাস্থ্য সহকারীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন জেলা সিভিল সার্জন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ।
তবে দাখিল করা জবাব সিভিল সার্জনের সন্তোষজন না হলেও ক্ষমা পেলেন সেই স্বাস্থ্য সহকারী। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুরে প্রতিবেদককে ওই স্বাস্থ্য সহকারীর ক্ষমার বিষয়টি জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তানজিরুল ইসলাম রায়হান। তিনি বলেন, সিভিল সার্জন স্যার প্রথমবার ক্ষমা করেছেন।
স্বাস্থ্য সহকারী হযরত আলী পূনরায় বহাল থাকছেন বলেও জানান তিনি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত রবিবার (২ মার্চ) নেত্রকোনা জেলা সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্য ওএসডি হয়ে যান এরপরই ৫ মার্চ দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তৃপক্ষকে চিঠি প্রদানের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সহকারী হযরত আলীকে ক্ষমা করা হয়েছে। এর আগে জবাব কার্যক্রম চলমান থাকার সময়েও সেই স্বাস্থ্য সহকারী নিজের সুবিধা মতো বদলির পায়তারা করে কিন্তু জানাজানি হওয়ায় বদলির চেষ্টায় ব্যর্থ হয়।
এর আগে চলতি বছরের গত ১৬ ফেব্রুয়ারি গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের জাগিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অস্থায়ী কেন্দ্রে আশপাশের এলাকার শিশুদের টিকা প্রদানের কথা থাকলেও সেখানে যাননি স্বাস্থ্য সহকারী মো. হযরত আলী। যার কারণে টিকা পায়নি ওই এলাকার শিশুরা। এ নিয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় দৈনিক ও অনলাইনে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপরই বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে এলে স্বাস্থ্য সহকারী মো. হযরত আলীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়। নোটিশে তিন কর্ম দিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়।
এদিকে ২০২২ সালে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত স্টোর কিপারের দায়িত্বে থাকাকালীন সময়েও কর্তৃপক্ষের আদেশ অমান্য করে চাকুরীবিধি ও শৃঙ্খলা পরিপহী কাজে লিপ্তসহ নানান অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তবুও অদৃশ্য কারণে বহাল থেকে যায় এই হযরত আলী। প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাবেক সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্য মোবাইল ফোনে বলেন, তার দাখিল করা জবাব সন্তোষজন ছিল না। কিন্তু প্রথমবারের জন্য মানবিক চিন্তায় ক্ষমা দেওয়া হয়েছে তাকে।