বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ-
প্রথম আলোর অফিসের সামনে বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ( বশেমুরবিপ্রবি) বিক্ষোভ মিছিল ও প্রথম আলো ডেইলি স্টার পত্রিকা পুড়িয়েছে শিক্ষার্থীরা। একই সাথে আগামীকাল থেকে ক্যাম্পাসে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন তারা।
আজ রবিবার (২৪ নভেম্বর) রাত সাড়ে নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে জয়বাংলা চত্বরে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে সেখানে তারা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। এসময় তারা প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকার বিরুদ্ধে দেশ বিরোধী বিভিন্ন চক্তান্তের ও ভারতীয় দালালির অভিযোগ তোলেন। সমাবেশের বক্তব্য শেষে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা পুড়িয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
বিক্ষোভ মিছিলে তাদের “দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা”, ” দালালি না রাজ পথ, রাজপথ রাজাপথ”, ” দিল্লি আলো দিল্লি স্টার, এই মুহূর্তে বাংলা ছড়”,” প্রথম আলোর বিরুদ্ধে, ডাইরেক একশন”,”ডেইলি স্টারের বিরুদ্ধে, ডাইরেক একশন “, ” প্রথম আলো ডেইলি স্টার, ফ্যাসিবাদের আরেক দোসর ” সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
বিক্ষোভ সমাবেশে ফার্মেসি বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ওবায়দুল ইসলাম বলেন,” আমরা বাংলাদেশ থেকে ফ্যাসিবাদকে তাড়িয়েছি বুকের রক্ত দিয়ে। এইদেশ ৯০% মুসলমানদের দেশ। এখানে কোনো ভারতীয় দালালদের স্থান হবে না। এই প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার হলো আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দালাল। তারা বাংলাদেশে বসে ভারতের হয়ে দালালি করপ। আমরা হুশিয়ার করে বলে দিতে চাই দালালি করতে হলে দিল্লি যেয়ে দালালি করেন। প্রয়োজনে আমরা আরো রক্ত দিব তবুও এই দালালদের স্থান বাংলার মাটিতে হতে দিব না।”
তিনি আরও বলেন,” আমাদের রক্তক্ষরণ হচ্ছে। একটা ভালো সমাবেশ যেখানে গরু জবেহ করে উৎযাপন করা হয়েছে, এটা আমাদের ঐতিহ্য। আপনারা দেখবেন যতবার মুসলমানরা দাঁড়াবে ততবার ‘প্রথম আলো’ ও ‘দ্য ডেইলি স্টার’ তার বিরোধিতা করবে। শুধু আজকে না ২০১৩ সালে আমরা দেখেছি ওখানে রক্তের হোলিখেলা চলছে, প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার নিউজ করে ওখানে মৌলবাদীরা রাস্তায় নামে। কেন দাঁড়ি টুপি দেখলেই কি আপনাদের চুলকাই? যদি এতো বেশি চুলকাই দিল্লি গিয়ে চুলকাবেন। আমরা রক্ত দিতে প্রস্তুত তবু দিল্লির দালালদের এই বাংলার ঠাঁই হবে না।”