বুধবার, মে ১, ২০২৪

কয়েকটি মিষ্টি খাবার যা ডায়াবেটিসেও খাওয়া যায়

যা যা মিস করেছেন

মিষ্টিজাতীয় খাবার থেকে ডায়াবেটিস রোগীদের একটু দূরেই থাকতে হয়। তাদের জন্য কম কার্বোহাইড্রেট, বেশি ফাইবার, প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি আছে এমন মিষ্টিজাতীয় নাস্তা খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন। কিন্তু আমাদের হাতের কাছেই এমন কিছু খাবার আছে যা ডায়াবেটিস রোগীরাও বিকেলের নাস্তা বা যেকোন সময় ক্ষুধা মেটাতে খেতে পারেন। এমন খাবার নিয়েই আজকের আলোচনা:

পিয়ারস: পিয়ারসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। ফাইবার রক্তপ্রবাহের সময় চিনির শোষণের মাত্রা কমিয়ে দেয়, যার ফলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক থাকে। একটি গবেষণায় জানা গেছে, ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক রাখতে সতেজ পিয়ারস খুবই কার্যকর।

আপেল: আপেলের অনেক ধরণের উপকারিতা আছে। এটি একদিকে যেমন পুষ্টিকর, অন্যদিকে সুস্বাদুও বটে। একটি মাঝারি আকৃতির আপেলে ২৮ গ্রাম কার্বোহাড্রেট ও ৫ গ্রাম ফাইবার থাকে। একটি গবেষণায় জানা গেছে, ভাত খাওয়ার আগে একটি আপেল খেলে শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা কমে।

আঙ্গুর: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আঙ্গুর খুবই স্বাস্থ্যকর এবং অধিক ফাইবারসম্মৃদ্ধ একটি খাবার। প্রতি আধা কাপ আঙ্গুরে ১ গ্রাম ফাইবার ও ১৪ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে। এছাড়া কালো আঙ্গুরে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পলিফেনলস থাকে যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে এবং ডায়াবেটিস সংক্রান্ত স্বাস্থ্য জটিলতা থেকে সুরক্ষা দেয়।

চিয়া সিড: এটি খুবই স্বাস্থ্যকর, সুস্বাদু। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, প্রোটিন ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড। ১২ টি গবেষণার একটি রিভিউয়ে দেখা গেছে, নিয়মিত চিয়া সিড খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক থাকে এবং ডায়াস্টোলিক ব্লাড প্রেসারও কমে।

বাদাম: বাজারে বিভিন্ন ধরনের বাদাম কিনতে পাওয়া যায়। এটি খুব সহজেই বহন করা যায়। বাদামে অনেক বেশি ফাইবার এবং প্রোটিন থাকে। ৪০ টি গবেষণার একটি রিভিউয়ে দেখা গেছে, নিয়মিত বাদাম খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে।

ড্রাই ফ্রুটস: ড্রাই ফ্রুটসও খুব সহজেই বহন করা যায়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি খুবই স্বাস্থ্যকর একটি নাস্তা হতে পারে। বাজারে অনেক ধরনের ড্রাই ফ্রুটস পাওয়া যায় যাতে কার্বোহাইড্রেট, ক্যালরি এবং চিনি বেশি পরিমাণে থাকতে পারে। তাই সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে বাড়িতে ড্রাই ফ্রুটস তৈরি করা।

বানানা আইসক্রিম: মজার ব্যাপার হচ্ছে শুধুমাত্র একটি উপকরণ দিয়ে এটি তৈরি করা যায়। আর তা হচ্ছে কলা। কলা হচ্ছে ফাইবারের অনেক ভালো উৎস। এতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের মাত্রা কম যা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক রাখতে খুব কার্যকর।

যেভাবে বানাবেন: একটি পাকা কলা নিয়ে তা ছোট করে কাটুন। এবার একটি পাত্রে নিয়ে ডিপ ফ্রিজে ২-৩ ঘন্টা রেখে দিন। এরপর এটিকে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে আরেকটি পাত্রে নিয়ে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত। তৈরি হয়ে গেলো বানানা আইসক্রিম।

এমন অনেক ধরনের স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর মিষ্টি খাবার আছে যা ডায়াবেটিস রোগীরা নাস্তা হিসেবে খেতে পারে। তবে উপরের খাবারগুলো দিয়ে আপনি স্বাস্থ্যকর মিষ্টি খাবার খাওয়া শুরু করতে পারেন।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security