জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, কয়েক কোটি মানুষকে প্রচন্ড দুর্যোগের মধ্যে ঠেলে দিয়ে বহু তলা বিশিষ্ট বিল্ডিং বা ফ্লাইওভার কোন দেশের উন্নয়নের মাপকাঠি হতে পারে না।
দেশের পাঁচ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করছে, ৩০ লাখের অধিক বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করা ছাত্র বেকার, প্রতি চারজন শিশুর একজন অপুষ্টির শিকার তারপরও রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় করে উন্নয়নের ঢাকঢোল পেটানো সাধারণ মানুষের সাথে রসিকতার নামান্তর। নিরন্ন মানুষের হাহাকার, কর্মক্ষম যুবকদের বেকারত্বের অভিশাপে প্রমাণ হয়েছে সরকারের তথাকথিত উন্নয়ন প্রকৃতপক্ষে সরকারের ব্যর্থতার নির্দেশক। আজ মা অভাবের তাড়নায় নবজাতককে রাস্তায় ফেলে যাচ্ছে – এগুলো সমাজ উন্নয়নের প্রতিফলন নয়।
মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল দারিদ্র বিমোচনের জন্য – উন্নয়নের নামে বৈষম্যের জন্য নয়। দেশের সম্পদ গুটিকয়েক মানুষের কাছে কেন্দ্রীভূত করে, দুর্নীতির মাধ্যমে অতি দ্রুত ধনী হওয়ার তালিকায় বিশ্বের প্রথম হওয়া কোনক্রমেই জাতির জন্যে গৌরবজনক নয়। চর দখলের ন্যায় ক্ষমতায় এসে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সরকার দুর্নীতি ও অপচয় নিয়ন্ত্রণে সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে।
আজ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল -জেএস ডি’র স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আ স ম আবদুর রব।
স্থায়ী কমিটির সভায় আ স ম রব আরো বলেন, সমাজের সকল অংশে ও স্তরে মানুষের অংশগ্রহণ ও সম্মতি ভিত্তিক গণমুখী সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে পারলে বাংলাদেশের জন্য আরো দ্রুততর গতিতে আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্যসহ সকল অভিশাপ স্বল্পতম সময়ের মধ্যে নির্মূল করার বিপুল সুযোগ সৃষ্টি হবে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় রাষ্ট্রীয় রাজনীতিতে আমূল সংস্কার সাধন করতে হবে।
আমাদের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোসহ প্রশাসন, অর্থনৈতিক ও আর্থিক অবকাঠামো সমূহে সর্বোপরি আমাদের সামাজিক সংস্কৃতিতে মৌলিক পরিবর্তন আনতে হবে। এ লক্ষ্যে বৃহত্তর গণআন্দোলন গড়ে তোলে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ‘জাতীয় সরকার’ গঠন করে রাষ্ট্রীয় সংস্কার সমূহ সম্পন্ন করতে হবে।
স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় রাজনৈতিক , আঞ্চলিক রাজনীতি ও সাংগঠনিক বিষয়ে বক্তব্য প্রদান করেন দলের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার।
সভায় বক্তব্য রাখেন স্থায়ী কমিটি’র সদস্য সর্বজনাব সা কা ম আনিসুর রহমান খান, মো. সিরাজ মিয়া, মিসেস তানিয়া রব, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, এ্যাড. আবদুর রহমান মাস্টার, বাবু হিরালাল চক্রবর্তী, আবদুল জলিল চৌধুরী, এ্যাড. মাহমুদুর রহমান প্রমুখ।