নন্দীগ্রামে মমতা ব্যানার্জী জিতেছেন, নাকি শুভেন্দু অধিকারী জিতেছেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। এদিকে সংবাদ সংস্থা এএনআই এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পরে ১২০০ ভোটে জিতেছেন মমতা। কিন্তু পরে জানা যায় শুভেন্দু জিতেছেন। আনন্দবাজারকে সে কথা জানান বিজেপির প্রার্থী শুভেন্দু নিজেই। এই ঘটনা নিয়ে কমিশনের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মমতা ব্যানার্জী।
এর আগে কালীঘাটের বাড়ি থেকে কর্মীদের উদ্দেশ্যে মমতা জানান, ‘ডাবল ইঞ্জিনের বিরুদ্ধে ডাবল সেঞ্চুরি করেছি। এটা বাংলার জয়, বাংলার জয়। কিন্তু উচ্ছ্বাস যেন বাঁধভাঙা না হয়। কোভিড চলছে এখনও কোভিডের মোকাবিলা করাই প্রধান। এখনই বিজয় মিছিল নয়। সকলে বাড়ি যান। অভিনন্দন আপনাদের সকলকে।
জয় নিয়ে সংশয়ের কোনও কারণ নেই তার। গোটা রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস যেমন ভাল ফল করছে, নন্দীগ্রামেও জয়ী হবেন তিনি। ২৯২ আসনের মধ্যে ২০০ এরও বেশি আসনে এখনও এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। ভোটের ট্রেন্ড প্রকাশিত হতেই রাজ্যের একাধিক কেন্দ্র থেকে কালীঘাট সর্বত্রই সবুজ আবির খেলায় মেতেছে ঘাসফুল শিবিরের কর্মী-সমর্থকেরা। যদিও একেবারে শেষ লগ্নে দেখা যায় ১৯৫৩ ভোটে শুভেন্দু অধিকারির কাছে পরাজিত হয়েছেন মমতা।
উল্লেখ্য, ভারতের কেন্দ্রে আর রাজ্যে একই দলের সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের সেই বিশেষ রাজ্যটার কতই না উন্নতি হতে পারে, গুজরাট-সহ বিভিন্ন রাজ্যের দৃষ্টান্ত দিয়ে পশ্চিমবঙ্গকে ঠিক সেটাই দেখাতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছে বিজেপি। তাদের ভাষায় যার নাম ‘ডাবল ইঞ্জিন’ তত্ত্ব।