আসন্ন দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ৩৩১ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য আইন মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনাও দিয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
আইন মন্ত্রণালয়কে পাঠানো ইসির নির্দেশনায় ৩৩১ জন জুডিশিয়াল সার্ভিসের কর্মকর্তাকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে উপজেলা ভেদে কোথাও তিন আবার কোথাও দুই ইউপির জন্য একজন করে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটরা ভোটের ফৌজদারি অপরাধসহ বিভিন্ন অপরাধের সংক্ষিপ্ত বিচারকাজ পরিচালনা করে থাকেন।
আইন মন্ত্রণালয়কে পাঠানো ইসির নির্দেশনায় ৩৩১ জন জুডিসিয়াল সার্ভিসের কর্মকর্তাকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে উপজেলা ভেদে কোথাও তিন আবার কোথাও দুই ইউপির জন্য একজন করে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন।
বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটরা ভোটের ফোজদারি অপরাধসহ বিভিন্ন অপরাধের সংক্ষিপ্ত বিচারকাজ পরিচালনা করে থাকেন। ইসির আইন শাখার উপ-সচিব আফরোজা শিউলি সম্প্রতি নির্দেশনাটি আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিবের কাছে পাঠিয়েছেন।
আফরোজা শিউলি জানিয়েছেন, স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা) নির্বাচন বিধিমালার অধীন নির্বাচনী অপরাধসমূহ ‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮ (অ্যাক্ট নম্বর পাঁচ)’ এর ১৯০ ধারার অধীনে আমলে নেওয়া ও তা সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচারের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন তারা।
দ্বিতীয় ধাপের ইউপি ভোটে ১৭টি রাজনৈতিক দল প্রার্থী দিয়েছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। সবচেয়ে কম প্রার্থী দিয়েছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও ইসলামী ঐক্যজোট।
ইসির উপ-সচিব মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান পদে ৮৩৮ জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ৩৬৮ জন, জাতীয় পার্টি ১০৭ জন, জাতীয় পার্টি-জেপি ৩ জন, কংগ্রেস ৭ জন, জাকের পার্টি ৪৯ জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল ২৬ জন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ৫ জন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল ৩ জন, গণতন্ত্রী পার্টি ২ জন, বাসদ ২ জন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ ৩ জন, খেলাফত মজলিশ ২ জন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ১ জন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ৫ জন, ইসলামী ঐক্যজোট ১ জন ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ৩ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল করে। বাছাই প্রক্রিয়ায় এদের মধ্যে স্বতন্ত্রসহ মোট ১২৬ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থী রয়েছেন ৩ হাজার ৯৮৯জন।
এছাড়া বাছাই শেষে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে প্রার্থী রয়েছেন ৯ হাজার ৩৭০ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে রয়েছেন সাড়ে ৩ হাজারের মতো প্রার্থী।
তফসিল অনুযায়ী, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিলের শেষ সময় ২৪ অক্টোবর। আর আপিল নিষ্পত্তির সময় শেষ ২৫ অক্টোবর। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ২৬ অক্টোবর, প্রতীক বরাদ্দের সময় ২৭ অক্টোবর।
ইতোমধ্যে প্রথম ধাপে ৩৬৯ ইউপিতে নির্বাচন সম্পন্ন করেছে ইসি। ২৮ নভেম্বর ১০০৭ ইউপির ভোট হবে।