ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় সরকারের সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। করোনা সংক্রমণের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে তিনগুণ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছে সরকার।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ে মৃত্যু শূন্যের কোঠায় রাখতে শতভাগ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার প্রস্তুতি সরকারের আছে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সময়ে পাঁচ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবহার করা হয়েছিল। আম্পানের সময়ে করোনার কারণে ১৪ হাজার ৬৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২৪ লাখ ৭৮ হাজারের বেশি মানুষকে রাখা হয়েছিল। অতীত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবারও তিনগুণ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
কোভিডের কারণে তিনগুণ আশ্রয়কেন্দ্র স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবহার, সবার জন্য মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিশ্চিত করা হয়েছে। ফনী, বুলবুল, আম্পান মোকাবিলায় অতীতের অভিজ্ঞতা কাজে লগিয়ে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করা হবে এবং শতভাগ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে এসে মৃত্যুহার শূন্যের কোঠায় আনার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
কোভিড রোগী থাকলে তাকে আইসোলেশনে রাখার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আক্রান্ত কেউ যেন সুস্থ মানুষের মাঝে না আসতে পারে, সে বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কোনোভাবেই যেন আশ্রয়কেন্দ্র থেকে নতুন করে সংক্রমণের সৃষ্টি না হয় সে বিষয়টি নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি, মাঠ পর্যায়ের সকল সরকারি কর্মকর্তাদের সার্বিকভাবে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।