ইসরাইলের সেনাবাহিনী বলেছে, দেশটির ‘বেশ কিছুসংখ্যক’ সাধারণ নাগরিক এবং সেনাসদস্যকে জিম্মি করে রেখেছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। জিম্মি হওয়া এসব ব্যক্তির মধ্যে আছে— শিশু, নারী, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীরাও। খবর আলজাজিরা।
ইসরাইল সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল জোনাথন কনরিকাস বলেছেন, ‘জিম্মি হওয়া এসব ব্যক্তির মধ্যে কেউ কেউ বেঁচে আছে। আবার কাউকে মেরে ফেলা হয়েছে।’
এর আগে গতকাল শনিবার হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর উপপ্রধান সালেহ আল-আরোউরি আলজাজিরাকে বলেন, ‘আমরা অনেক ইসরাইলি সেনাকে হত্যা করেছি এবং বন্দি করেছি। লড়াই এখনো চলছে।’
ইসরাইলি সেনা ও সাধারণ নাগরিকদের জিম্মি করে হামাস চাইছে, ইসরাইলের কারাগারে যেসব ফিলিস্তিনি বন্দি আছে, তাদের ছেড়ে দেওয়া হোক।
বন্দিদের অধিকার নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংগঠন (এনজিও) আদামিরের হিসাব অনুযায়ী, প্রায় ৫ হাজার ২০০ ফিলিস্তিনি এখন ইসরাইলের কারাগারে বন্দি অবস্থায় আছে। তাদের মধ্যে ৩৩ জন নারী, ১৭০ অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেমেয়ে রয়েছে।
ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস গতকাল সকালে ইসরাইলে ব্যাপক রকেট হামলা চালায়। হামাসের সশস্ত্র যোদ্ধারা ইসরাইলনিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ডে ঢুকে পড়লে ইসরাইলি সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এর জবাবে ইসরাইল পালটা হামলা চালানো শুরু করে ফিলিস্তিনের গাজায়। ইসরাইল বলছে, হামাসের হামলায় ২৫০ জন ইসরাইলি নিহত হয়েছেন।
হামাস ইসরাইলে এ অভিযানের নাম দিয়েছে ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’। দখলদার ইসরাইলের হাত থেকে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতাই এ অভিযানের লক্ষ্য বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি।
শনিবার রাতে দেওয়া বার্তায় ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, তার দেশে এক ‘দীর্ঘ ও জটিল’ যুদ্ধের মধ্যে প্রবেশ করেছে। তিনি বলেন, ‘হামাসের প্রাণঘাতী হামলার ফলেই’ এ যুদ্ধ শুরু হয়েছে।