করলায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি ও সি রয়েছে। একই সঙ্গে এতে বিটা-ক্যারোটিন, লুটেইন, আয়রন, জিঙ্ক, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে।
করলা আপনার প্রিয় খাবার নাও হতে পারে। কিন্তু এর পুষ্টিগুণের কথা চিন্তা করে আপনার খাদ্যতালিকায় এটি রাখতে হবে। ডায়াবেটিসসহ আরও বেশ কিছু রোগের যম এই করলা।
এছাড়া গবেষণায় দেখা গেছে, করলার আরও তিনটি উপাদান পলিপেপটাই়ড পি, ভাইসিন, চ্যারনটিন যা ডায়াবেটিস রোগীর রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এরমধ্যে পলিপেপটাইড পি-এর ভূমিকা অনেকটা ইনসুলিনের মতো।
তিতা করলার রস পানে অগ্ন্যাশয় ক্যানসারের কোষ ধ্বংস হয় বলে গবেষকরা জানিয়েছেন। করলার আয়রন হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে সাহায্য করে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লুইস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে করলার রস ব্রেস্ট ক্যানসারের কোষকেও ধ্বংস করতে সক্ষম।
এটি দাঁত ও হাড় ভালো রাখে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে ও চোখের সমস্যা সমাধানে করলার বিটা ক্যারোটিন খুবই উপকারী।
ত্বক ও চুল ভালো রাখার জন্যও একান্ত জরুরি। চর্মরোগ সারাতে সাহায্য করে। এছাড়া করলার রস কৃমিনাশক।
এছাড়া করলা জ্বর, ঋতুকালীন যন্ত্রণা, সর্দি-কাশির সমস্যাতেও কাজ দেয়। ডায়েটের ক্ষেত্রেও করলা অতি প্রয়োজনীয়।