কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন: নেত্রকোনা পৌরশহরে আরামবাগ এলাকার মোছা. মাজেদা বেগমকে (৫২) নৃশংসভাবে হত্যাকান্ডের মূলহোতাসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দুই সপ্তাহের মধ্যে ক্লুলেস এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন এবং ভুক্তভোগীর ব্যবহৃত একটি এন্ড্রয়েট মোবাইল ও নগদ সাত হাজার টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
ভুক্তভোগী মোছা. মাজেদা বেগম একই এলাকার মৃত আরজান আলীর স্ত্রী। নিহতের স্বামী ও ছেলে সন্তান না থাকায় এবং মেয়ে ফরিয়া সুলতানা ইতি তার স্বামীর কর্মস্থল ময়মনসিংহের ভালুকা মাস্টার বাড়ি এলাকায় বসবাস করার সুবাধে ভুক্তভোগী নিজ বাড়িতে একাই থাকতেন।
প্রত্যক্ষভাবে জড়িত গ্রেফতারকৃতরা হলেন- এ হত্যাকান্ডের মূলহোতা নেত্রকোনা কলমাকান্দা উপজেলার হাসানোয়াগাঁও গ্রামের মো. শহিদের ছেলে আরিয়ান আহমেদ রাজীব (২২)। জাড়িত আরেকজন নেত্রকোণা পৌরশহরের ছোট বাজার এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে সাউন বিন তোহা আব্দুল্লাহ (১৫)।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানান নেত্রকোনার পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, জেলা গোয়েন্দা শাখা ও নেত্রকোণা মডেল থানা পুলিশের যৌথ টিম গোয়েন্দা তথ্য ও বিভিন্ন সূত্রের সহায়তায় ভুক্তভোগীর লুন্ঠিত ‘স্যামসাং এম-১৪’ ব্র্যান্ডের এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোনটি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার থেকে উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে গত বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) নেত্রকোনা পৌরশহরের ছোট বাজার এলাকা থেকে মাজেদা বেগম হত্যাকান্ডের প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার অপরাধে মূলহোতাসহ দুজন গ্রেফতার এবং ভুক্তভোগীর লুন্ঠিত টাকার মধ্যে সাত হাজার টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা ভুক্তভোগী মাজেদা বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যাসহ নগদ টাকা, দুটি মোবাইল ফোন ও ভুক্তভোগীর ব্যবহৃত এক জোড়া কানের দুল নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছে। মামলার তদন্ত কার্যক্রম ও অবশিষ্ট লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
গত ২০ মার্চ আনুমানিক সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা এই মধ্যবর্তী সময়ে নিজ বাড়িতে একা পেয়ে মাজেদা বেগমকে নৃশংসভাবে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরে নগদ ১৫ হাজার, দুটি মোবাইল ফোন ও ভুক্তভোগীর কানে পরিহিত কানের দুল নিয়ে যায়। ভুক্তভোগীর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে থানা পুলিশ।
এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় গত ২৫ মার্চ পেনাল কোডের ৩০২ ধারায় থানায় মামলা রুজু হয়। ক্লুলেস এই হত্যা সংগঠনের দুই সপ্তাহের মধ্যে মূলহোতাকে গ্রেফতার ও রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয় পুলিশ।