আমিনুল হক,
সুনামগঞ্জ ফ্যাসিস্ট আমলের মতো ফসলরক্ষা বাঁধে অনিয়ম হলে আইনের আশ্রয় নেওয়া হবে বলে জানান হাওরবাঁচাও আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। আজ সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় হাওর বাঁচাও আন্দোলন’ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা ফসলরক্ষা বাঁধের অগ্রগতি বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে মতবিনিময় কালে এসব কথা বলেন। মতবিনিময়কালে নেতৃবৃন্দের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানান, ফসলরক্ষা বেড়িবাঁধের কাজ এ পর্যন্ত ৪২ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে।
যেসব স্থানে বাঁধের কাজের অগ্রগতি নেই সেসব স্থানে আমরা দ্রুত কাজ এগিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। গতকাল রবিবার থেকে বাঁধের কাজ এগিয়ে নিতে উপজেলা পর্যায়ের সকল এস.ও গণ বাঁধে অবস্থান করছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেসব স্থানে অপ্রয়োজনীয় বাঁধের কাজ হয়েছে, সেগুলো তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সারা জেলায় ১৭১৮ কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে, কিন্তু মেরামত কাজ হবে ৫৯৫ কিলোমিটার। এবার পিআইসি রয়েছে ৬৮৬ টি। বরাদ্দ হয়েছে ৯৭ কোটি টাকা, বাড়তি বরাদ্দ সহ মোট ১ শত ২৬ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় হরিমুনের খাড়ায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে কোনো সমস্যা নেই। আগে কালো মাটি ভরাট হয়েছিল। এটা এখন আর হচ্ছে না।
বাঁধের কাজ চলমান আছে। তিনি বলেন, ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণের নীতিমালা অনুযায়ী কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আশাকরি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাঁধের কাজ শেষ করা সম্ভব হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, আমরা সকলের সহযোগিতায় সঠিক সময়ে বাঁধের কাজ শেষ করার চেষ্টা চালিয়ে যাবো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি চিত্তরঞ্জন তালুকদার, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়, কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ আরতি তালুকদার কলি, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক দুলাল মিয়া, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক আনোয়ারুল হক, হাওর বাঁচাও আন্দোলন জেলা কমিটির সভাপতি ইয়াকুব বখত বাহলুল, সহ-সভাপতি মুরশেদ আলম, সহ-সভাপতি মো. আলী নুর, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আকরাম উদ্দিন প্রমূখ।