জবি প্রতিনিধি:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের নবীনবরণ ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ ও ১৫ তম আবর্তনের শিক্ষার্থীদের বিদায় এবং ১৯ তম আবর্তনের শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়ার সময় জবি উপাচার্য এ কথা বলেন। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেজবাহ-উল-আজম সওগাত এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। এসময় উপাচার্য বলেন, আমরা আমাদের যেসকল বিজ্ঞজন আছে তাদের কাজে না লাগিয়ে বাইরে থেকে হায়ার করে নিয়ে এসেছি।
বর্তমানে আমরা আমাদের যোগ্য লোকেদের কাজে লাগানোর একটা সুযোগ পেয়েছি, সেটাকে আমরা ব্যর্থ হতে দিবো না। আমরা সবাই একতাবদ্ধ হয়ে একটা মুক্ত গণতান্ত্রিক দেশ গঠন করবো। আমি বিদায়ী শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানাই নারী-পুরুষ সমভাবে সকল কর্মক্ষেত্রে বিচরণ করবে। যেখানেই আপনাদের সুযোগ থাকবে আপনারা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কাজ করবেন। আমাদের সকলকে জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে হবে, নিজেকে জানতে হবে।
আজকে ৩ হাজার বছর পর এসেও আমাদের সক্রেটিসের ভাষায় বলতে হচ্ছে, নিজেকে জানো। কেনোনা নিজেকে জানার মাধ্যমে পৃথিবীর সকল জ্ঞানকে জানার পথ প্রশস্থ হয়। নবীনদের নিজেদের নৈতিকতা ঠিক রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করতে হবে। মেজবাহ-উল-আজম সওগাত বলেন, নবীনদের সাথে আমি খুব অল্প ক্লাস নিয়েছি। তবে তারা অনেক সম্ভবনাময়। তারা শতভাগ উপস্থিতি থাকে ক্লাসে। আমি বিশ্বাস করি নবীন (১৯ তম আবর্তন) ব্যাচ দেশের সকল পলেসি-মেকিং বডিতে স্থান করে নিবে এবং দেশ ও জাতির স্বার্থে কাজ করবে।
শুধু বিসিএস ক্যাডার হলেই হবে না, জ্ঞানের সকল শাখায় পদার্পণ করতে হবে। জুলাই বিপ্লবে রক্ত দিয়ে যে নতুন বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি সেখানে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আমরা সকলে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবো। এই বাংলাদেশে আর যেনো কোনো গুম, খুন, পুলিশী হয়রানি ও কোনো গোয়েন্দা সংস্থা অন্যায়ভাবে ভয় না দেখায় সেইলক্ষ্যে সকলে একযোগে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়।
বিদায়ীদের উদ্দেশে সাবিনা শরমিন বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় তোমাদেরকে অনেক ক্ষেত্রে যেমন আশাহত করেছে ঠিক তারচেয়ে বেশি আশীর্বাদও দিয়েছে এবং প্রতিষ্ঠিতও করেছে, যা তোমাদের পরবর্তী জীবনে সাফল্যমন্ডিত করতে কাজে লাগবে। যেখানে যতো বেশি চ্যালেঞ্জ থাকে সেখানে নিজেদেরকে বলিষ্ঠ করা যায়। অনুষ্ঠানের আহব্বায়ক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নঈম আকতার সিদ্দিক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমিন ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সানজিদা ফারহানা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।