ঝালকাঠির নলছিটি শহরের মল্লিকপুর এলাকায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে অন্যের জমিতে জোর করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গৃহবধূ নাসরিন আক্তার নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানা, সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না। উল্টো জবরদখলকারী চার ভাই দুলাল, শামীম, নওশা ও হিরা প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন ওই গৃহবধূর পরিবারকে।
অভিযোগে জানা যায়, মল্লিকপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হাকিম হাওলাদারের মৃত্যুর পরে ওয়ারিশ সূত্রে জমির মালিক হন তাঁর তিন প্রবাসী ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান লিটন, রুহুল আমিন ও রিয়াজুল ইসলাম। তাদের জমি ও প্রতিবেশী দুলাল হাওলাদার, শামীম, নওশা ও হিরাদের জমি পাশাপাশি। তাদের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধও রয়েছে। হাকিম হাওলাদারের তিন ছেলে বিদেশে থাকায় বিরোধীয় জমিতে জোর করে প্রতিবেশীরা ভবন নির্মাণ শুরু করে। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিস বৈঠক হলেও দুলাল ও তাঁর ভাইয়েরা কোন মিমাংসায় যেতে রাজি হচ্ছে না। এ অবস্থায় আব্দুল হাকিমের ছেলে প্রবাসী রিয়াজুল ইসলামের স্ত্রী নাসরিন আক্তার বাদী হয়ে ঝালকাঠির ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতিবেশী চারজনের নামে মামলা করেন। আদালত নলছিটি থানার ওসিকে প্রতিবেদন দিতে বলেন। পুলিশ তদন্ত করে জমি আব্দুল হাকিম হাওলাদারের ছেলেদের দখলে রয়েছে বলে আদালতকে জানায়। আদালত বিবাদীদের জমিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। পাশাপাশি প্রত্যেককে নিজের দখলীয় জমি ভোগদখল করার নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে দুলাল, শামীম, নওশা ও হিরা আব্দুল হাকিম হাওলাদারের ছেলেদের জমির কিছু অংশে ভবন নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে বাধা দিলে সেনাবাহিনীর ভয় দেখিয়ে তাদের ভবনের কাছে আসতেও নিষেধ করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে রিয়াজুল ইসলামের স্ত্রী নাসরিন আক্তার নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নলছিটি থানা ও সেনাবাহিনীর কাছে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না। তিনি আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে প্রতিপক্ষরা জানিয়েছেন, তাদরে জমিতেই তাঁরা ভবন নির্মাণ করছেন।