ইবি প্রতিনিধি:
সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয় সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। শিক্ষা, নৈতিকতা ও সংস্কৃতির মেলবন্ধনের জন্য এ আয়োজন করেন এপিএ নৈতিকতা কমিটি।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এর আয়োজন করা হয়।

সভায় এপিএ টিমের আহ্বায়ক ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাবিপ্রবি’র উপাচার্য অধ্যাপক ড.সেলিনা আখতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাবিপ্রবি’র উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাঞ্চন চাকমা ও ইবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া। ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আয়েশা বিনতে রাশেদ তিথির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিষ্টার এইচ এম আলী হাসান। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে শিক্ষা, গবেষণা ও সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয় সাধনের লক্ষ্যে এমওইউ সমঝোতা চুক্তি সাক্ষরিত হয়। চুক্তির কার্যক্রম হিসেবে আজকে এই সমন্বয় সভা ও সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার বলেন, এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দুই বিশ্বিবদ্যালয়ের মাঝে একটি বন্ধন তৈরি হয়েছে। আমরা দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝে এমওইউ স্বাক্ষর করেছি তা পরবর্তীতেও বজায় থাকবে। আসলে আমাদের সকলকে সবসময় শুদ্ধাচারের চর্চা করতে হবে। প্রত্যেকের উপর অর্পিত দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করলে দেশ ও জাতি এগিয়ে যাবে। আমরা যদি নিজ নিজ ধর্মের অনুশাসন মেনে চলি তাহলে আমরা সুন্দর মানুষ হতে পারবো।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, পাহাড় ও সমতলের মানুষের ভিতর অংশীদারিত্ব তৈরি করে সুশাসন, সংস্কৃতি ও শিক্ষার মাধ্যমে এই দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। পাহাড় ও সমতলের মানুষ বাংলাদেশের মানুষ। আমাদের সংস্কৃতির ভিন্নতা আছে, কৃষ্টি কালচারের বৈচিত্র্য আছে এই ভিন্ন সংস্কৃতি সমন্বয় করার মধ্যমে দেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতি আরও এগিয়ে যাবে। আমরা সকলে মিলে আমাদের এই দেশটা এগিয়ে নিয়ে যাবো।

সভা শেষে রাবিপ্রবি’র শিক্ষকদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। পরে ইবি ও রাবিপ্রবি’র শিক্ষার্থীদের যৌথ অংশগ্রহণে পাহাড়ি ও সমতলের সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন শীর্ষক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version