শাকিল বাবু
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান অর্থাৎ ১৯৭২ সালের সংবিধানকেন্দ্রিক দেশের প্রথম ভাস্কর্য-স্থাপনা ‘ধ্রুব ’৭২’ উদ্বোধন করা হয়। ‘ধ্রুব ’৭২’ ভাস্কর্য-স্থাপনাটির রূপকার সৌমিত্র শেখর। এখানে বাহাত্তরের সংবিধানের চার মূলনীতি জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা চারটি সুউচ্চ স্তম্ভে উৎকীর্ণ আছে।

শনিবার (১৬ই ডিসেম্বর) বিকেল ০৪:৩০ মিনিটে সংবিধান নিয়ে আলোচনা সভা ও ‘ধ্রুব ’৭২’ উদ্বোধন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব ও উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। এসময় আলোচনায় অংশ নেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. রিয়াদ হাসান, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর, লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আজিজুর রহমান এবং আইন ও বিচার বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. আহসান কবীর।

‘জাতীয়তাবাদ’ স্তম্ভে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন পতাকার আদল; ‘সমাজতন্ত্র’ স্তম্ভে চারটি গ্রন্থ আছে, যেখানে অধ্যয়ন ও জ্ঞানের গভীরতা বোঝানো; ‘গণতন্ত্র’ স্তম্ভে কলমের নিব দিয়ে মুক্তমত প্রকাশের স্বাধীনতা বোঝানো আর ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ স্তম্ভে সমাবর্তন ক্যাপ দিয়ে সংস্কারমুক্তিকে বোঝানো হয়েছে। ‘ধ্রুব ’৭২’ স্থাপনা নির্মিত হয়েছে সামাজিক বিজ্ঞান ও ব্যবসায় প্রশাসন ভবনের প্লাজায়, যা ‘সংবিধান আঙিনা’ হিসেবে পরিচিত হবে। উল্লেখ্য, ‘ধ্রুব’ শব্দটির সঙ্গে কাজী নজরুল ইসলামের সংযোগ আছে। তিনি এই নামে একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন।

‘ধ্রুব ’৭২’-এর রূপকার উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, “বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান বাহাত্তরের সংবিধান নিয়ে দেশে হয়তো এটিই প্রথম স্থাপনা। আমি গত দুবছর ধরে এমন একটি কাজের ব্যাপারে ভেবে অবশেষে সবার সহযোগিতায় স্থাপনাটি রূপদান করতে পারলাম। ‘ধ্রুব ’৭২’-এ সংবিধানের চার মূলনীতি তুলে ধরা হয়েছে, যাতে ছাত্র-শিক্ষক ও সাধারণ মানুষের সম্মুখে তা উজ্জ্বল হয়ে থাকে। ১৯৭২ সালের ১৬ই ডিসেম্বর থেকে সংবিধানটি কার্যকর হয়। এবার সংবিধান কার্যকর হওয়ার সুবর্ণজয়ন্তী বা ৫০ বছর।”

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version