তাসলিমুল হাসান সিয়াম,গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
কার্তিকের আগমনে দরজায় কড়া নাড়তে শুরু করেছে শীতের আমেজ। উত্তরের জেলা গাইবান্ধার বিভিন্ন উপজেলায় সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত অনুভূত হতে শুরু করেছে শীতের পরশ। ভোর ৫টা থেকে সকাল সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার দেখা মিলছে। ঘাসের ডগায়, ধানের পাতায় জমছে শিশির বিন্দু। পায়ের স্পর্শে অনুভূত হচ্ছে হিমেল পরশ। সূর্যোদয়ের মধ্য দিয়ে মিষ্টি রোদ আর সবুজ ঘাসের পাতার ওপর শিশির বিন্দু জানিয়ে দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা।
ফসলের মাঠে উঁকি দিচ্ছে নতুন বীজের প্রস্ফুটিত চারা। তাতে শিশির বিন্দু ছড়িয়ে দিচ্ছে মৃদু শীতলতা। এ সময় জেলার বিভিন্ন এলাকার সড়কে ইজিবাইক, মোটরসাইকেলসহ সব ধরনের যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলতে দেখা যায়।
ভোরে ধোঁয়া ধোঁয়া কুয়াশার সিগ্ধতার মাখামাখিতে এখন এক অন্য রকম প্রাকৃতিক পরিবেশ বিরাজ করছে। কুয়াশা মাখা মনোরম পরিবেশ উপভোগ করে উচ্ছ্বসিত হয়েছেন ভোরে ফজরের নামাজের মুসল্লি, হাঁটতে বের হওয়া মানুষ ও কাজে বের হওয়া শ্রমিকরা।
এ সময়ে কুয়াশার কারণে এবার শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। তারা বলছেন, এখন আর রাতে ফ্যান চালানো যাচ্ছে না। শেষ রাতে কাঁথা ও পাতলা কম্বল জড়াতে হচ্ছে শরীরে। তবে ঘন কুয়াশা এবং তীব্র শীত আসতে দেরি আছে।
এদিকে শীতের আগাম সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, লাউ, টমেটো, লাল শাকসহ বিভিন্ন ধরনের আগাম শীতকালীন সবজি চাষ হয়েছে।
সদর উপজেলার আরিফ খা গ্রামের নজরুল বলেন, কার্তিক মাসের শুরুর দিকে এমন ঘন কুয়াশা গত কয়েক বছর দেখেনি উপজেলাবাসী। তবে হাঁটতে খুব ভালো লাগছে, আজকের দিনে কুয়াশা বলে দেয় যে শীত আসছে।
স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম আব্দুল বাকি বলেন,যে পরিমাণ কুশায়া পড়ে গেছে, এতে হয়তো শীতের আগমন ঘটছে। কয়েকদিন আগে অনেক বৃষ্টি, তার পরেই গরম এরপর সকালে কুয়াশা। এ সব মিলিয়েই আমাদের এই বাংলাদেশর ছয় ঋতুর কিছুটা পরিবের্তন ঘটছে। সব যেন একটু আগে পিছে হচ্ছে।
ইজিবাইক চালক মিলন বলেন, কুয়াশা মানেই শীত আসার নমুনা। চলাচলে একটু বিঘ্ন ঘটছে তাতে কোনো সমস্যা নেই। সকালের স্নিগ্ধ আবহাওয়া ভালোই লাগছে।
ভোর বেলা হাটতে বের হওয়া সরকারি কর্মচারী ইউনুস বলেন, অক্টোবর মাস প্রাকৃতিক নিয়মেই কুয়াশা পড়ার কথা। তবে আস্তে আস্তে পড়ার কথা থাকলেও আজকে একটু কুয়াশা যেন বেশিই পড়েছে।