হিন্দু আইন পরিবর্তনের উদ্যোগের বিরুদ্ধে সম্মিলিত পরিষদের আহ্বানে হিন্দু ধর্মীয় সামাজিক সংগঠন সমূহ এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার ও ঢাকা বারের হিন্দু আইনজীবীদের উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
আজ শুক্রবার (২ রা জুন) ঢাকার শাহবাগ জাতীয় যাদুঘর চত্বরে হিন্দু আইন পরিবর্তন প্রতিরোধে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
হিন্দু আইন পরিবর্তন প্রতিরোধ সম্মিলিত পরিষদের সভাপতি সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট ড. জে. কে পালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সনাতন পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক হীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, ইসকন বাংলাদেশ এর ফুড ফর প্রোগ্রাম পরিচালক শ্রীমৎ রুপানুগ গৌরদাস ব্রাহ্মচারী, শ্রীমৎ চিন্ময় গদধর দাস ব্রহ্মচারী, দিপঙ্কর শিকদার দিপু, হিন্দু ল ইয়ার্স অর্গানাইজেশন এর সাধারণ সম্পাদক সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট শংকর চন্দ্র দাস, এডভোকেট দীপ্তিষ হালদার, এডভোকেট জিতেন্দ্র চন্দ্র বর্মন, এডভোকেট উজ্জ্বল প্রসাদ, এডভোকেট শ্রী প্রহল্লাদ সাহা, ইঞ্জিনিয়ার শ্যামল কুমার রায়, বিজয় ভট্টাচার্য, পলাশ কান্তি দে, এডভোকেট সঞ্জয় কুমার দে দুর্জয়, শ্যামল কান্তি নাগ (সাংবাদিক), ডাঃ এম. কে রায়, শ্রী সাধন দেবনাথ, শ্রী সাজন মিস্ত্রী, শ্রী শংকর সরকার, শ্রী নিত্যগোপাল ঘোষ, নিহার হালদার, শ্রী দিপঙ্কর বেপারী, প্রদীপ কান্ত দে, শ্যামল দাস, কৃষ্ণ দাস, পিষুজ দাস, আকাশ শীল, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল মধু, অনিল পালসহ হিন্দু ধর্মীয় সামাজিক সংগঠনের প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য বাংলাদেশে প্রচলিত হিন্দু আইনকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যায়িত করে নারী, প্রতিবন্ধী ও লিঙ্গবৈচিত্রময় জনগোষ্ঠীকে সম্পত্তিতে সমঅধিকার,স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও পুরুষের যথেচ্ছ বহুবিবাহের সুযোগ বাতিল,বিশেষ প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে বিবাহ বিচ্ছেদের বিধান,সন্তানের ওপর পুরুষের মত নারীরও অভিভাবকত্বের স্বীকৃতি,নারীর সন্তান দত্তক নেওয়ার অধিকার এবং কন্যা সন্তান দত্তক নেওয়ার অধিকারসহ বিবাহ নিবন্ধন বাধ্যতামূলক এ ছয়টি দাবি সংস্কারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু আইন সংস্কার পরিষদ এবং তাদের এই দাবির বিরোধিতা করে আইন প্রণয়নের বিরুদ্ধে আজকের প্রতিবাদ সমাবেশ ও মশাল মিছিল।