অনেক সময় ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যাওয়ার কারণে সেহরিতে দেরি হয়ে যায়। দেখা গেছে, সেহরি খাওয়া শুরু করেছে কিংবা খাওয়া শেষ হয়নি এমন সময় আজান হয়ে যায়; এসময় করণীয় কী?
হ্যাঁ, সেহরি খাওয়া অবস্থায় ফজরের আজান শুরু হলে সঙ্গে সঙ্গে খাওয়া বন্ধ করতে হবে। এ অবস্থাতেই যথারীতি রোজা পালন করবে। তবে সেহরির শেষ সময়ের পর ভুলক্রমে বা অনিচ্ছাকৃত পানাহার করার কারণে রোজা ভঙ্গ হলে এই রোজাটি রমজানের পর পুনরায় কাজা করতে হবে।
কিন্তু আজান শোনার পরও যদি পানাহার বন্ধ না করেন, তাহলে কাজা ও কাফফারা আদায় করতে হবে। কারণ, প্রথমে ভুলবশত খাওয়া হলেও পরে ইচ্ছাকৃত খাওয়ার দ্বারা রোজা ভঙ্গ করা হয়েছে। তবে যদি সেহরির সময় থাকার সময় কেউ আজান দিয়ে দেয় তবে সে বিষয়টি ভিন্ন।
মনে রাখতে হবে
আজান হলো ফজরের নামাজের জন্য, সেহরি খাওয়া বন্ধ করার জন্য নয়। তাই সেহরি এর আগেই বন্ধ করতে হবে। আজান কখনও সেহরির সময়ের মধ্যে দেওয়া হয় না; আজান ফজরের ওয়াক্ত হওয়ারও একটু পরে দেওয়া হয়। কারণ, সেহরির সময় বাকি থাকলে ফজরের ওয়াক্ত হয় না। আর ওয়াক্ত হওয়ার আগে আজান দিলে আজান আদায় হবে না।
উল্লেখ্য, হাদিস শরিফে যে আজানের পরেও খাওয়ার কথা আছে, তা হলো তাহাজ্জুদের আজান; ফজরের আজান নয়। যা এখনও মক্কা ও মদিনায় প্রচলিত আছে। (ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি)
দ্যা মেইল বিডি/এইচএসএস