পোশাক পরিধান করা ইসলামে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নামাজ বিশুদ্ধ হওয়ার অন্যতম একটি শর্ত হলো সতর ঢেকে রাখা। সুতরাং হাফ শার্ট অথবা গেঞ্জি পরিধান করে নামাজ পড়লে কোনো অসুবিধা নেই, বরং নামাজ আদায় হয়ে যাবে। কারণ, একজন পুরুষের জন্য সতর ঢাকাটাই প্রয়োজন। তবে, শালীন ও সুন্দর পোশাক পরিধান করে নামাজ পড়তে বলেছেন আল্লাহ তাআলা। ‘হে বনী আদম! তোমরা প্রত্যেক (নামাজের সময়) মসজিদে (যাওয়ার আগে) সাজসজ্জা করে নাও।’ (সুরা আরাফ: ৩১)‘যেসব পোশাক পরিধান করে কোনো মহতি মাহফিল বা অনুষ্ঠানে যেতে সংকোচ বোধ হয়, ওসব পোশাক পরে নামাজ পড়া মাকরুহে তানজিহি। তবে কারো কাছে ওই মুহূর্তে হাফশার্ট বা গেঞ্জি থেকে ভালো কোনো পোশাক না থাকলে, সেগুলো পরেই নামাজ আদায় করা যাবে, এতে কোনো অসুবিধা নেই।’ (আদ্দুররুল মুখতার : ১/৬৪০; রদ্দুল মুখতার: ১/৬৪১; ফাতওয়ায়ে ফকিহুল মিল্লাত: ৩/৫১৭, ৫১৯)বর্তমান সমাজে হাফ শার্ট বা টি-শার্ট পরে নামাজ পড়লে মাকরুহ হবে না বলে মনে করেন অনেক আলেম। কারণ হিসেবে তারা বলেন, যেহেতু আমাদের সমাজে টি-শার্ট বা হাফ হাতা শার্টকে অশালীন মনে করা হয় না, এমনকি অফিস-আদালত বা গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে হাফ শার্ট পড়া হয়, এছাড়াও বর্তমানে এটি সৌন্দর্যের অন্তর্ভুক্ত। তাই হাফ হাতা শার্ট বা টি-শার্ট পড়ে নামাজ পড়লে মাকরুহ হবে না।
তবে, ‘স্যান্ডো গেঞ্জি পরে যদি কেউ সালাত আদায় করেন, তাহলে তাঁর সালাত মাকরুহ হবে। কাঁধের ওপর যদি কোনো কাপড় দেওয়া থাকে বা চাদর দেওয়া থাকে, তাহলে তার সালাত হয়ে যাবে। মূল কথা হলো, সালাতের সময় কাঁধ ঢাকতে হবে, অন্যথায় সালাত মাকরুহ হবে।’ (ইফতা বিভাগ, দারুল উলুম দেওবন্দ, ভারত)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নামাজের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতে যতটুকু সম্ভব উত্তম পোশাক পরার তাওফিক দান করুন। আমিন।