মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪

রাজধানীতে বসে জেলা কমিটি পরিচালনা সম্ভব নয়, নতুন নেতৃত্বের দাবী জানালেন মুকুট

যা যা মিস করেছেন

স্টাফ রিপোর্টারঃ
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট বলেন, রাজধানীতে বসে জেলা আওয়ামীলীগের কমিটি পরিচালনা সম্ভব নয়, নতুন নেতৃত্বের দাবী জানালেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নুরুল হুদা মুকুট। তিনি বলেন, দীর্ঘ দিন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কোন মিটিং, বর্ধিত সভা এবং প্রতিনিধি সভা হয় নাই। আজকেই (১৪ ফেব্রুয়ারি) প্রথম আমরা সবাই একত্রিত হয়েছি। ইউনিয়নের কোন কমিটি যদি সম্মেলনের মাধ্যমে করা হয় তাহলে সেই কমিটি জেলা কমিটির মাধ্যমে অনুমোদিত হতে হয়। কিন্তু বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঢাকায় বসে অনুমোদন দিয়ে দেন। এটা অত্যন্ত দুঃখের এবং লজ্জার।
নুরুল হুদা মুকুট বলেন, আমার ছোট ভাই মেয়র (নাদের বখত) বলেছেন- আব্দুজ জহুর সাহেব যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, আয়ুব বখত জগলুল তখন সেক্রেটারি। তারপর আমি সেক্রেটারি ছিলাম। আমরা যতগুলো সম্মেলন করেছিলাম সবগুলোই সুন্দরভাবে, গঠনমূলকভাবে, গঠনতন্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী করেছি। তারপর মতিউর রহমান সাহেব প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন আমি সেক্রেটারির দায়িত্ব নেই। দীর্ঘ ১৭ বছর যাবৎ আমি আওয়ামী লীগের সেক্রেটারির দায়িত্বে ছিলাম। সেই সময় আমরা মতিউর রহমান সাহেবের বাসায় জেলা কমিটির সভা করে কমিটির অনুমোদন দিয়েছি। কিন্তু আজ ৬ বছর জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি হয়েছে, কিন্তু কয়টা মিটিং হয়েছে আজ পর্যন্ত? ঢাকায় বসে তারা মিটিং আহবান করে। কতজন লোক আছে যারা পকেটের টাকা খরচ করে ঢাকায় গিয়ে মিটিংয়ে উপস্থিত হতে পারে? সত্যিই এটা লজ্জা এবং দুঃখজনক ব্যাপার।
তিনি বলেন, এখানে যারা বড় বড় কথা বলছেন ৯১-৯৬ পর্যন্ত তখন তাদের কাউকে রাস্তাঘাটে পাওয়া যায় নাই। আমরা বৃদ্ধ জহুর সাহেবকে নিয়ে, কিছু সাহসী কর্মী নিয়ে বিএনপিকে মোকাবেলা করেছিলাম।
কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, আগামী দিনগুলো কঠিন হবে। দুর্বল এই কমিটি দিয়ে, দুর্বল প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারি দিয়ে আপনারা সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগকে টিকিয়ে রাখতে পারবেন না। যারা বিএনপিকে মোকাবেলা করতে পারবে তাদের প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারি করেন। আপনারা আমাকে প্রেসিডেন্ট করুন সেটা বলছি না। কিন্তু আপনারা যোগ্য ব্যক্তির হাতে নেতৃত্ব দিবেন।
তিনি বলেন, মেয়র বলে গেছেন সদর উপজেলায় আসনে আমরা একটা সিটও পাই নাই কারণ সদর আসনে যাদের নাম ইউনিয়ন কমিটি থেকে এসেছে, ওয়ার্ড কমিটি থেকে নাম এসেছে তাদের নাম জেলায় এসে পাল্টে গেছে। এটা কিসের জন্য, কিসের আলামত আমি ভেঙে বলতে চাই না।
তিনি বলেন, আজ নৌকার প্রার্থী ছাতক ও সদরের চেয়ারম্যানকে নমিনেশন দেয়া হয় নাই। সেটা অত্যন্ত দুঃখের-লজ্জার। কেন তাদের নমিনেশন দেয়া হয়নি। এইসব ভুলের জন্য আজ বিদ্রোহীর সংখ্যা বাড়ছে। প্রকৃত নেতৃবৃন্দ আমাদের কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন। তাহিরপুরেও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন সাহেবকে বাদ দিয়ে অন্য একজনকে নমিনেশন দেয়া হয়েছে

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security