সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪

নবীজি পানি পান করতেন যেভাবে

যা যা মিস করেছেন

পানি আল্লাহর অপার এক নিয়ামত। শুধু বিশুদ্ধ, পরিমিত ও নিয়ম মেনে পানি পানে অনেক রোগের উপকার পাওয়া যায়। তবে অনেকেই সঠিকভাবে পানি পান করেন না বা জানেন না।

পানি কীভাবে পান করতে হবে এ ব্যাপারেও হজরত মুহাম্মদ (সা.) সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন; যা পালন করলে পানিপান করার পাশাপাশি বিরাট সওয়াবের মালিকও হওয়া যাবে।

মুসলিম শরিফে পানি পানের পদ্ধতি বর্ণিত হয়েছে এভাবে-

১. পানি পানের শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়া এবং শেষে আলহামদুলিল্লাহ পড়া।

২. বসে বসে পান করা, দাঁড়িয়ে পান না করা।

৩. ডান হাত দিয়ে পান করা। কেননা শয়তান বাম হাত দিয়ে পানি পান করে।

৪. তিন নিশ্বাসে পানি পান করা, নিশ্বাস ফেলার সময় পাত্র থেকে মুখ আলাদা করা। পাত্র যদি ভাঙা থাকে পাত্রের ভাঙা অংশের দিক দিয়ে পান না করা।

৫. বড় পাত্রে মুখ লাগিয়ে পান না করা। কেননা এতে বেশি পানি চলে আসার বা সাপ-বিচ্ছু থাকার সম্ভাবনা থাকে।

৬. স্বর্ণজাতীয় পাত্রে পান না করা।

মনে রাখবেন, পানি পান করার পর অন্যজনকে দিতে হলে প্রথমে ডান পাশের জনকে দেবেন। সেও তার ডান পাশের জনকে দেবে, এভাবেই চলবে। চা ও অন্যান্য পানীয় এ নিয়মেই পান করতে হবে।

মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অতঃপর আমি পানিকে জমিনের বুকে সংরক্ষিত করি’ (সূরা মুমিনুন ১৮)।

পানির যে ‘ঢোক’ আমরা এক মুহূর্তে কণ্ঠনালি দিয়ে গড়িয়ে দেই এর প্রতিটি ফোঁটা আল্লাহর এক বিশাল কুদরতি ব্যবস্থাপনা অতিক্রম করে আমাদের অবধি পৌঁছে।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security