আল্লাহ মানুষকে যেমন সুস্থ রাখে, তেমন রোগ-বালাইও দেয়। অনেক সময় পরীক্ষা নেয়ার জন্যও আল্লাহ আমাদের রোগ দিয়ে থাকেন যেন আমরা আল্লাহকে মনে করি। ভুলে না যাই। এছাড়াও বিপদ-আপদে আল্লাহকে কতটুকু মনে রাখছি এটাও আল্লাহ দেখেন। রোগ হলে হয়তো সর্বপ্রথম আমরা ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়। তবে যিনি আমাদের রোগ দিয়েছেন, তার কাছে একবার হলেও কী আমরা রোগমুক্তির জন্য সাহায্য চেয়েছি? ডাক্তার তখনই আমাদের সাহায্য করতে পারবে যখন আমরা আল্লাহর কাছে সাহায্য চাই। তিনিই অসুখ সারানোর উছিলায় ডাক্তার দিয়েছেন।
কোরআনে এমন কিছু আয়াত আছে যেগুলো বিভিন্ন রোগ-ব্যাধির জন্য শিফা স্বরূপ। তাই এ সব আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার কাছে রোগ থেকে মুক্তি চাওয়া উচিৎ। রোগ থেকে মুক্তি লাভে পূর্ব শর্ত হচ্ছে আল্লাহর বিধানকে জানা এবং যথাযথ মানার পাশাপাশি পূর্ণ আস্থা এবং বিশ্বাস রাখা। রোগ-ব্যাধি থেকে শিফা লাভে কয়েকটি আয়াত তুলে ধরা হলো-
আরবি উচ্চারণ: اَللَّهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْبَرَصِ وَ الْجُنُوْنِ وَ الْجُذَامِ وَمِنْ سَىِّءِ الْاَسْقَامِ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল বারসি ওয়াল জুনুনি, ওয়াল জুযামি, ওয়া মিন সায়্যিইল আসকম।
অর্থ: হে আল্লাহ্! আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি পাগলামী, কুষ্ঠ রোগ, শ্বেতরোগ এবং অতি মন্দ রোগ ব্যাধি হতে। (সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৫৪৯৩)
তিরমিজিতে এসেছে, আরো একটি দোয়া পড়তে বলেছেন রাসুলূল্লাহ ( সা.)-
আরবি উচ্চারণ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ مُنْكَرَاتِ الأَخْلاَقِ وَالأَعْمَالِ وَالأَهْوَاءِ وَ الْاَدْوَاءِ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন মুনকারাতিল আখলাক্বি ওয়াল আ’মালি ওয়াল আহওয়ায়ি, ওয়াল আদওয়ায়ি।
অর্থ: হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার কাছে খারাপ (নষ্ট-বাজে) চরিত্র, অন্যায় কাজ ও কুপ্রবৃত্তির অনিষ্টতা এবং বাজে অসুস্থতা ও নতুন সৃষ্ট রোগ বালাই থেকে আশ্রয় চাই।’ _সুনানে তিরমিজি