মোঃ রাসেল আহম্মেদ, বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার নন্দীগ্রাামে চোলাই মদ উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশের সাথে আদিবাসীদের সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় পৃথক দুটি মামলায় ৭০ জন আদিবাসীকে আসামি করা হয়েছে। থানার এসআই রেজাউল করিম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেছেন।
বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের দাসগ্রাম বৃন্দাবনপাড়ায় আদিবাসী পল্লীতে চোলাই মদ উদ্ধার অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় আদিবাসীদের ঘর তল্লাশী কালে পুলিশকে বাধা দেয়া হয়। একপর্যায়ে আদিবাসীরা পুলিশের উপর চড়াও হয়। এসময় আদিবাসী নারী-পুরুষ সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে আদিবাসী পল্লীর ৭-৮জন নারী-পুরুষ আহত হয়।
এদিকে আদিবাসীদের হামলায় নন্দীগ্রাম থানার ৭ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে এসআই রেজাউল করিমকে গুরুতর অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সেখান থেকে ১৮ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করে পুলিশ।
এই ঘটনায় নন্দীগ্রাম থানার এসআই রেজাউল করিম বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় ৯ জনের নাম উল্লেখসহ ৬০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেছে। এছাড়া চোলাই মদ উদ্ধার ঘটনায় একজনকে আসামি করে আরো একটি মাদক দ্রব্য আইনে মামলা করা হয়েছে। তবে মামলার পর থেকে এজাহারভুক্ত আসামীরা পলাতক রয়েছে।
দাসগ্রামের আদিবাসী পল্লীর জাম্বু মাহাতো বলেন, আগামী শনিবার তার দুই মেয়ে পাতা মাহাতো ও লতা মাহাতোর বিয়ে। বিয়ে উপলক্ষে সামাজিক রীতি অনুযায়ী বর পক্ষের জন্য বাড়িতে চোলাই মদ তৈরী করে রাখা হয়। তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, নন্দীগ্রাম থানা পুলিশের একটি দল আদিবাসীদের বাড়িতে হানা দিয়ে ঘরে ঘরে তল্লাসীর সময় নারী-পুরুষদের মারধর করেছে। এই পুলিশী হামলার আমরা প্রতিবাদ করছি।