দ্যা মেইল বিডি / খবর সবসময়

; ;

দ্যা মেইল বিডি ডট কম

তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধিত অনলাইন পত্রিকা, নিবন্ধন নং- ১১

টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ ইউনিয়ন তহসিলদার (নায়েব) একটি জমি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দু’জনকে খারিজ দেয়ায় সংখ্যা লঘু পরিবার আজ ঘর ছাড়া।
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের তহসিলদার (নায়েব) মো. তোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে একই জমি দু’জন ব্যাক্তিকে জমা খারিজ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
১৯৬২ সালের ভূমি জরিপের রেকর্ডীয় মালিক নায়েবের এমন অবৈধ কাজে, আজ বিপাকে পড়ে গৃহহীন হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নে গিয়ে মৃত সুধীর কুমার ধরের ছেলে লিটন কুমার ধরের সাথে কথা বলে জানান যায়, সাধন কুমার ধর ও লিটন কুমার ধর তাদের পূর্ব পুরুষের ভাটপাড়া মৌজার দুই দাগের ২৬ শতাংশ জমি, যার বি এস ২৩০ নং খতিয়ানের ৬৩৫ নং দাগে ৮ শতাংশ এবং ৬৩৬ নং দাগের ১৮ শতাংশ জমি, পিতার মৃত্যুর পর ১৮ নভেম্বর ২০২০ সালে নিজেদের নামে নাম খারিজ করেন। লিটন কুমার ধর, সহবতপুর ইউনিয়নের তহসিলদার মো. তোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, এই খারিজ করতে নায়েব তোফাজ্জল হোসেন ৭০ হাজার টাকা দাবি করে। খারিজ করতে এতো টাকা কেন লাগবে, লিটনের এমন কথার উত্তরে নায়েব জানায়, পিয়ন থেকে শুরু করে এসিল্যান্ড পর্যন্ত অফিসের সবাইকে টাকা দিতে হয়।
এ টাকা গুলো ধার-কর্জ করে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে পৈত্রিক জমি খারিজ করাই।
সংসারের টাকার প্রয়োজনে ১৭ জানুয়ারী ২০২১ সালে নাগরপুর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার রেজাউল করিমের অফিসে গিয়ে একই ইউনিয়নের মৃত কোরবান আলী মোল্লার ছেলে মো. জাকির হোসেন গং এর কাছে সাফ কবলায় বিক্রি করি।
লিটন কুমার ধর ভীত কন্ঠে বলে, দাদা, আমাদের ১৪ পুরুষের জমি টাকার প্রয়োজনে বিক্রি করে, প্রাণের ভয়ে বৌ বাচ্চা নিয়ে আজ পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছি। এক দিকে ক্রেতা জমিটা খারিজ করতে পারছেনা, অন্য দিয়ে ক্ষমতাবান লোক যে আমাদের জমি খারিজ করে নিয়েছে তাদের হুমকি ধামকি। তার উপর আবার নায়েব সাব ফোন দিয়ে এবং লোক দিয়ে বিভিন্ন ধরনের কথা বলছে। নিরাপত্তা হীনতায় আমি আজ বাড়ি ছাড়া৷
দাদা, আমরা হিন্দু বলে কি আমারা ন্যায় বিচার পাবে না? ন্যায় বিচারের জন্য আমি মাননীয় ডিসি, মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর কাছের সুবিচার প্রার্থনা করি।

উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের নলসন্ধ্যা গ্রামের মৃত কোরবান আলীর ছেলে মো. জাকির হোসেন বলেন, ক্রয়কৃত জমি নিজ নামে খারিজ করতে আবেদন দিলে, জমিটি দুই ব্যক্তির নামে খারিজ থাকায়, তারা আবেদন না মনজুর দেন।
যতদূর জানতে পােরেছি এস্তা গং নামক লোকেদের নামে এই জমিটি ১৭-১৮ সালের ৫৫১ নং ক্রমিকে খারিজ দেয়া হয়েছে। নায়েব তোফাজ্জল হোসেন বিভিন্ন কারন দেখিয়ে তালবাহানা করে আমাকে ৯ মাস ঘুরিয়েছে। এছাড়াও তিনি আমাকে নেতা, এলাকার মাস্তানদের মত লোকজন দিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে চুপচাপ থাকতে বলে।
সহবতপুর ইউনিয়নের ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন প্রথমে বিষয় নিয়ে কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করেন। পরে শুধু বলেন, এ বিষয়ে একটি মিস কেইস চালু আছে। আমার এসিল্যান্ড স্যারের সাথে কথা বলেন। তিনি আপনাকে সকল তথ্য দিতে পারবেন।

নাগরপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইকবাল হোসেন বলেন, আমি সম্প্রতি এখানে যোগদান করেছি। একটি জমি দু’জন ব্যক্তির নামে খারিজ প্রসঙ্গে আমার টেবিলে একটি মিস কেইসের আবেদন পেয়েছি। আমরা কাগজপত্র, দখল সহ সবকিছু পুনরায় খতিয়ে দেখে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। আশাকরি যে জমির প্রকৃত মালিক তিনিই আমাদের সহযোগিতা পাবেন। এছাড়াও এমন ঘটনায় যদি কারো গাফিলতি পরিলক্ষিত হয়, সে বিষয়টিও নজরে আনবো।

Share.
Leave A Reply

মোঃ আব্দুল আওাল হিমেল
প্রকাশক ও সম্পাদক 
দ্যা মেইল বিডি ডট কম
মোবাইল: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
ইমেইল: themailbdnews@gmail.com
ঠিকানা: ১০২/ক, রোড নং-০৪, পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭

নিউজরুম: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
জরুরী প্রয়োজন অথবা টেকনিক্যাল সমস্যা: +৮৮০ ১৮৩৩-৩৭৫১৩৩

© 2025 Themailbd.com. Designed and developed by Saizul Amin.
Exit mobile version