রোজার গুরুত্বপূর্ণ অংশ সেহেরি। সেহেরিতে আপনি যদি পুষ্টিকর খাবার খান তবে দিনভর ক্লান্তিহীন থাকতে পারবেন। এজন্য সেহেরিতে উপযুক্ত খাবার বেছে নিতে হবে। যদিও সেহরিতে পেট ভরে খেলেও সারাদিনের ক্ষুধা মেটানো সম্ভব নয়। কিন্তু তারপরও এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো সেহেরিতে খেলে দিনে ক্ষুধার অনুভব কম হয়।
সেহেরিতে ফাইবারযুক্ত খাবার ও কম তেল-মশলায় রান্না করা খাবার খেতে পারলে বেশি ভালো হয়। এতে করে দিনের সময়টা ক্ষুধা কম লাগবে এবং সতেজ অনুভব করবেন।
সেহরিতে ভাতের সঙ্গে অল্প মশলায় রান্না করা তরকারি, মুরগির মাংস, ডাল ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে। খাবারের শেষে এক বাটি দই খেতে পারেন। সেইসঙ্গে কয়েকটি খেজুর খেলে সারাদিন ক্ষুধার অনুভূতি কম হবে।
ভাত খেতে না চাইলে রুটি কিংবা চিড়া খেতে পারেন। রুটি খেলে এর সঙ্গে ডাল এবং সবজি খান। খেতে পারেন ডিমও।
একদম শেষ সময়ে সেহেরি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। সেহেরির সময় শেষ হওয়ার এক ঘণ্টা আগে খাবার খান। খাবারের তালিকায় রাখুন ভাত, ডাল, মাছ বা মাংস। খাবার শেষে খেতে পারেন মিষ্টি জাতীয় কোনো খাবার।
সেহেরিতে খেতে পারেন ফাইবারযুক্ত ফল। শস্য জাতীয় খাবার বেশি সময় পেট ভরা রাখে। তাই বার্লি, ওটস, ছোলার মতো শস্য খেতে পারেন সেহেরিতে।
খাবার শেষ করে কিছুক্ষণ হাঁটুন। এরপর পানি পান করুন। সেহেরির শেষ সময়ে এক গ্লাস পানিতে এক চামচ গ্লুকোজ মিশিয়ে পান করতে পারেন। এই পানীয় বাড়তি শক্তি জোগাবে। তবে ডায়াবেটিস থাকলে এটি এড়িয়ে যেতে হবে।