মার্চ মাসে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে লঘুচাপ। এটি শেষ পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে তা হবে বিরল কোনো ঘটনা। কারণ এমন ঘূর্ণিঝড় ১৩২ বছরের মধ্যে তীরে আছড়ে পড়েনি। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও আন্দামানের কাছাকাছি এসে আরও শক্তিশালী হবে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ আন্দামান সাগরে এটি সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হবে। শনিবার এই সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া সংশ্লিষ্টরা।
লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ এবং শেষে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হবে ‘আসানি’। নামটি শ্রীলংকার দেওয়া।
এর অভিমুখ থাকবে পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব দিকে। এখান থেকে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে এটি। রোববার গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। ২২ মার্চ মধ্যরাত থেকে ২৩ মার্চ দুপুরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং মিয়ানমারের উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
নিম্নচাপের ফলে আগামী ৪/৫ দিনে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় বেলা বাড়লে অস্বস্তি বাড়তে পারে।
ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে যে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে, তা আগামী রোববার (২০ মার্চ) গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। পরদিন (সোমবার, ২১ মার্চ) তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। রবিবার পর্যন্ত আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের উপকূল বরাবর উত্তর দিকে যেতে পারে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়। তারপর উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার সকালের দিকে বাংলাদেশ এবং উত্তর মায়ানমারের কাছে পৌঁছাতে পারে।
উইন্ডি ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, এটি ২৩ বা ২৪ মার্চ বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
ব্রিটেনের রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহবিদ অক্ষয় দেওরাস টুইটারে বলেছেন, ‘যদি পূর্বাভাস মিলে যায়, তাহলে প্রথম ঘূর্ণিঝড় হিসেবে মার্চে আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে আছড়ে পড়বে আসানি। কমপক্ষে শেষ ১৩২ বছরে এই এলাকায় একটিও ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় মার্চে আছড়ে পড়েনি।’
সূত্র: নিউজ এইট্টিন, উইন্ডি ডটকম