ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি রাশিয়া। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোরে এই হামলা শুরু হয়। সোমবার হামলার পঞ্চম দিন। রাশিয়া-ইউক্রেনের এই যুদ্ধকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় সংঘাত বলে মনে করা হচ্ছে।
গত চার দিনে ইউক্রেনজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েছে রুশ বাহিনী। কোনও কোনও স্থানে ইউক্রেনীয় বাহিনী ও সেখানকার বেসামরিক নাগরিকার শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
এদিকে, ইউক্রেনে রাশিয়ার এই সামরিক অভিযান ‘অগ্রহণযোগ্য’ আখ্যা দিয়ে আমেরিকা, ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত বিভিন্ন দেশ ছাড়াও এসব দেশের মিত্রদের অনেকেই রাশিয়ার ওপর বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
তবে এই পদক্ষেপের উল্টো পথে হেঁটেছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। ইউক্রেনের হামলার কারণে রাশিয়ার ওপর কোনও ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপে রাজি নয় দেশটি। এক্ষেত্রে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে চায় ব্রাজিল।
শুধু তা-ই নয়, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি কঠোর সমালোচনাও করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেইর বলসোনারো।
এ সময় জেলেনস্কির অতীত জীবনের কথা তুলে ধরে তাকে কটাক্ষ করেন বলসোনারো। তিনি বলেন, “ইউক্রেনীয় জাতি তাদের ভাগ্যের বিষয়ে একজন কমিডেয়ানের ওপর বিশ্বাস করেছে।”
এ সময় তিনি বলেন, “ব্রাজিলের কৃষি রাশিয়ার সারের ওপর নির্ভরশীল। এমতাবস্থায় ইউক্রেন ইস্যুতে যেকোনও পদক্ষেপ নিতে নিয়ে ব্রাজিলের কৃষিখাত ভীষণ ক্ষতিরমুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।”
ইউক্রেনের রাশিয়ার সামরিক অভিযানে সম্ভাব্য গণহত্যার বিষয়ে প্রশ্ন করলে, জেইল বলসোনারো বলেন, “এটিকে ‘গণহত্যা হিসেবে আখ্যা দেওয়া অতিরঞ্জন ছাড়াই আর কিছুই নয়’ এবং পূর্ব ইউক্রেনের লুহানস্ক এবং ডোনেটস্কের মস্কোপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চলগুলোকে স্বাধীন হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য রাশিয়ার পদক্ষেপের পক্ষেই মত দেন তিনি। সূত্র: সিএনএন, রয়টার্স