জেলা প্রতিনিধি, নড়াইল:
নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভা এলাকায় সোয়েবুর খান (৪৬) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে লোহাগড়া থানা পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সবুজ শেখ (৩৪) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার (১০ আগস্ট) রাত ৮ টার দিকে লোহাগড়া থানার হলরুমে এক প্রেস ব্রিফিং এ এ তথ্য জানান লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম। গ্রেফতারকৃত সবুজ শেখ লোহাগড়া উপজেলার কালনা গ্রামের মৃত আহাদ শেখের ছেলে।
প্রেস ব্রিফিংএ শরিফুল ইসলাম জানান, গত বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাতে লোহাগড়া পৌরসভার মাইটকুমড়া এলাকার ইউনুস খানের ছেলে সোয়েবুর খান নামে এক ব্যক্তি বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে যান নি। পরদিন শুক্রবার (৮ আগস্ট) দুপুরে মাইটকুমড়া এলাকার একটি পুকুর থেকে সোয়েবুর এর লাশ উদ্ধার করা হয়। রোববার (১০ আগস্ট) বিকেলে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যায় সবুজ শেখ নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
পরে জিজ্ঞাসাবাদে সবুজ শেখ স্বিকার করে যে ঘটনার দিন মধ্যরাতে (বৃহস্পতিবার) এক নারীকে তিনি বিবস্ত্র অবস্থায় দেখছিলেন, এমন সময় সোয়েবুর সেটি দেখে ফেলে এবং তা সবাইকে বলে দিবে বল্লে দুজনের মাঝে ধস্তাধস্তি হয় এক পর্যায়ে সবুজ শেখ সোয়েবুর খান এর গলা চেপে তাকে হত্যা করেন। আসামির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সোয়েবুর এর মরদেহ লুকিয়ে রাখার জন্য তার সাথে থাকা গামছা দিয়ে গলায় পেছিয়ে পাশের পুকুরে টেনে নিয়ে যায় এবং পুকুরের কচুরিপনার মধ্যে লুকিয়ে তার কাছে থাকা মোবাইল টি নিয়ে চলে যায়।
আসামী সবুজ শেখ হত্যার কাজে ব্যবহৃত গামছাটি কালনা মধুমতি নদীর ঘাটে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে পানিতে ফেলে দেয় এবং তার কাছে থাকা মোবাইলের সিমটি ভেঙ্গে তিনি তার বাড়ীর পাশে ফেলে দেয় এবং মোবাইল টি তিনি তার নিজ কক্ষের আলমারিতে রাখেন। ওসি আরো বলেন, এ ঘটনায় সবুজ শেখকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহত সোয়েবুর এর স্ত্রী রিক্তা বেগম। এছাড়া সোয়েবুর এর মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে। আসামিকে সোমবার সকালে আদালতে পাঠানো হবে।