ইরানের প্রধান মিত্র রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি সোমবার ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার ৪৮ ঘন্টা পর তাদের মধ্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মস্কো থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
মস্কো তেহরানের গুরুত্বপূর্ণ সমর্থক, কিন্তু ১৩ জুন ইসরাইলের হামলার পর দেশটি এর অংশীদারের পিছনে সরে আসেনি, যার ফলে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে প্রতিশোধ নিতে বাধ্য হয়েছিল।
রাশিয়া ইসরাইলি ও মার্কিন হামলার নিন্দা করলেও, সামরিক সহায়তা দেয়নি এবং কয়েক মাস আগে তেহরানের সাথে স্বাক্ষরিত একটি ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তির অধীনে তার বাধ্যবাধকতাগুলোকে অবহেলা করেছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ‘মস্কোতে অবতরণের পর আরাগচি বলেছেন, এই নতুন বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে রাশিয়ার সাথে আমাদের পরামর্শ অবশ্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে’।
রোববার সরকারি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, ‘ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইহুদিবাদী সরকারের সামরিক আগ্রাসনের পর আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক উন্নয়নের বিষয়ে আরাকচি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করবেন।’
পুতিন প্রথমে নিজেকে ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে সম্ভাব্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে উপস্থাপন করেছিলেন, কিন্তু শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্রেমলিন নেতার ভূমিকার বিরোধিতা করার পর তিনি বলেছিলেন তিনি কেবল ‘ধারণার পরামর্শ’ দিচ্ছেন।
পুতিন সেন্ট পিটার্সবার্গে একটি অর্থনৈতিক ফোরামে বলেন, ‘আমরা কোনওভাবেই মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করতে চাইছি না, আমরা কেবল ধারণাগুলো সুপারিশ করছি’।
তিনি আরো বলেন, ‘যদি তারা উভয় পক্ষের প্রতি আকৃষ্ট হয়, তবে আমরা কেবল খুশি হব’।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবার মার্কিন হামলাকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে নিন্দা জানিয়েছে। এর আগে সামরিক হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছিল রাশিয়া।