আবু বকর ছিদ্দিক রনি, শার্শা প্রতিনিধি:
বেনাপোল বন্দরে চোরাচালান প্রতিরোধে স্থাপিত স্ক্যানিং মেশিনটি দির্ঘ দিন ধরে বন্ধ থাকার সুযোগে আবারো মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে বৈধ পথে আমদানি পণ্যের সাথে চোরাচালান বেড়েছে।
গতকাল রাতে আমদানিকৃত মাছের ট্রাক থেকে শাড়ি,থ্রীপিচের একটি চালান উদ্ধার করেছে কাস্টমস সদস্যরা। পণ্য চালানটির আমদানিকারক লাকি এন্টার প্রাইজ। কাস্টমস থেকে এ চালানটি খালাসের চেষ্টা করছিলেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সোনালী সিঅ্যান্ডএফ এজেন্সী লিমিটেডের শান্ত । এর আগেও এধরনের পণ্য চালান একাধিবার আটক করেছে কাস্টমস।
স্থানীয়রা জানান, গোঁপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রাতে ভারত থেকে আসা মাছবাহী এক ট্রাক তল্লাশী করে প্রায় ১০ লাখ টাকা মুল্যের গার্মেন্টস সামগ্রী থ্রীপিচ উদ্ধার করেছে কাস্টমস সদস্যরা।
তবে ঘটনার সাথে জড়িত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, আমদানিকারক বা সহযোগী কাস্টমস কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যেনতেন দায়সারা ব্যবস্থা নেওয়ায় থামছেনা এসব অনিয়ম। এদিকে কাস্টম-ইমিগ্রেশনের স্ক্যানিংক মেশিন দুটিও প্রায় ৬ মাস ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে থাকায় এরুটেও স্বর্নসহ মুল্যবান সম্পদের পাচার হয়ে যাচ্ছে ভারতে।
সাধারন ব্যবসায়ীরা জানান, মাছের ট্রাকে গার্মেন্টস চোরাচালান।কিছু অসৎ ব্যবসায়ীদের কারনে সাধারন ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার হচ্ছে।
মাছ বহনকারী ভারতীয় ট্রাক চালক আলমগীর জানান, তার মাছের ট্রাক থেকে কাস্টমস শাড়ি, থ্রীপিচের চালান উদ্ধার করেছে। তবে কারা এসব উঠিয়েছে তিনি জানেন না।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিষয়ক সম্পাদক সুলতান মাহামুদ বিপুল জানান,স্ক্যানিং মেশিন নষ্ট থাকায় নিরাপদ বানিজ্য ঝুকিতে পড়ছে।
বেনাপোল স্থলবন্দর পরিচালক রেজাউল করিম জানান,স্ক্যানিং মেশিনগুলো চালু করতে কাস্টমস কর্মকর্তাকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার হাফিজুল ইসলাম জানান, চোরাচালান প্রতিরোধে স্ক্যানিং মেশিনগুলো চালু করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে।