হলি সিয়াম শ্রাবণ, নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রাইম কোড ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে এলজিইডির রাস্তার কার্পেটিং। উপজেলা প্রকৌশলী বললেন, এটাতো হাতের কাজ, মেশিনের নয়। একটু উনিশ-বিশ হতেই পারে। রাস্তার উন্নয়ন কাজের কার্যাদেশে লিপিবদ্ধ তথ্য সম্বলিত সাইনবোর্ড সাইটে থাকার কথা থাকলেও উপজেলা প্রকোশলী সাংবাদিকদের বলেন তথ্য নিতে হলে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেন। স্থানীয়দের অভিযোগ রাতেও কাজ হয়েছে। ব্যবহার হয়েছে নিম্মমানের সামগ্রী।
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নে পল্লী বিদ্যুৎ এলাকা মোড় হতে সাইন উদ্দিন মোড় এলাকা পর্যন্ত এলজিইডির পাকা রাস্তার উন্নয়ন কাজের অনিয়ম-দুর্নীতির চিত্র এটি।
স্থানীয় কয়েকজন জানান- উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়কে পল্লী বিদ্যুৎ এলাকা থেকে সাইন উদ্দিন মোড় পর্যন্ত এলজিইডির প্রায় ৩ কিঃ মিঃ পাকা রাস্তার উন্নয়ন কাজ শুরু প্রায় এক মাস আগে। শুরু থেকে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এ রাস্তার উন্নয়ন কাজে নানা কারচুপি, অনিয়ম ও নিম্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করেন। কার্যাদেশের তথ্য সম্বলিত কোন সাইনবোর্ডও নেই সাইটে। যেকারনে রাস্তার কার্যাদেশ সম্পর্কে তারা কিছু জানেনা। অতি সম্প্রতি এ রাস্তায় ধূলা-বালি ও মাটি পরিস্কার না করে ম্যাকাডমের উপর প্রাইম কোট ছাড়াই কার্পেটিং করে তড়িগড়ি করে রাস্তার কাজ করেন। এ রাস্তার কাজটি বর্তমানে শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে তারা জানান।
সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আকন্দ এন্টার প্রাইজের ফজলুল হক সাংবাদিকদের জানান- তার কাজের গুণগত মান ভাল। কোথাও ফিটনেস কম থাকলে এলজিইডি অফিস তা পূরণ করে দিবে।
উপজেলা প্রকৌশলী অসিদ বরন দেব জানান- আমরা চেষ্টা করি কোয়ালিটি মেইনটেনেন্স প্যাসিফিক যা আছে, সে মোতাবেক কাজ করতে। আমাদের লোকও সেখানে আছে। এখন উনিশ-বিশ হতে পারে হাতের কাজ তো, মেশিনের নয়। রাস্তার ব্যাপারে তথ্য নিতে হলে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেন।
টিএমবি/এস