টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে অতলান্তিক মহাসাগরে হারিয়ে গিয়েছে পর্যটকবাহী সাবমেরিন ‘টাইটান’। তাতে পাঁচ জন ছিলেন। সাবমেরিনের পাইলট ছাড়া চার জন পর্যটককে নিয়ে টাইটানিকের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিল ‘টাইটান’। ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সাবমেরিনটির কোনও খোঁজ মিলছে না। অতলান্তিকে জোরকদমে চলছে তল্লাশি।
নিউ ফাউন্ডল্যান্ডের সেন্ট জন’স থেকে যাত্রা শুরু করেছিল সাবমেরিন ‘টাইটান’। জরুরি পরিস্থিতির জন্য ওই সাবমেরিনে ৯৬ ঘণ্টার অক্সিজেন মজুত ছিল। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ইতিমধ্যে বেশ কিছুটা অক্সিজেন ব্যবহার করা হয়ে গিয়েছে। আনুমানিক ৭০ ঘণ্টার অক্সিজেন ওই সাবমেরিনে বাকি আছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সাবমেরিনটিতে আছেন ব্রিটেনের কোটিপতি ব্যবসায়ী হামিশ হার্ডিং। ৫৯ বছর বয়সি এই প্রৌঢ় অভিযাত্রী অজানা জায়গায় গিয়ে নতুন নতুন আবিষ্কার এবং অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে ভালবাসেন। গত রবিবারই সমাজমাধ্যমে তিনি টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।
সাবমেরিনের তল্লাশি চালানো হচ্ছে পর্যটন সংস্থা ‘ওয়ানগেট’-এর তরফে। তারাই সাবমেরিনে টাইটানিক দর্শনের আয়োজন করেছিলেন। সংস্থার পাশাপাশি তল্লাশিতে হাত লাগিয়েছে আমেরিকার উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং কানাডার সেনা। সেই সঙ্গে বায়ুসেনাও আকাশপথে তল্লাশির কাজে সাহায্য করছে। সাবমেরিনটি খুঁজে বার করে তার পর্যটকদের দ্রুত উদ্ধারের সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে বলে আশ্বাস দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সাবমেরিনটিকে মহাসাগরের মাঝে চিহ্নিতই করা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে তল্লাশির কাজে আরও জাহাজ নামানো হবে বলে খবর।
যেখানে সাবমেরিনটির খোঁজ করা হচ্ছে, সেখানে সমুদ্রে তিন থেকে ছয় ফুট উঁচু ঢেউ রয়েছে। আবহাওয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তবে ঘন কুয়াশার কারণে উদ্ধারকারীদের অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে।