তীব্রতা বাড়ছে গরমের। অসহনীয় এ গরমে তাই কিঞ্চিৎ প্রশান্তির জন্য ঠান্ডা পানি, আইস্ক্রিম কিংবা শরবত যেন শেষ ভরসা। এরপরও কমছে না গরমের মাত্রা।
বড়দের পাশাপাশি ছোটরাও গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। অন্যদিকে কাজের খাতিরে বাইরে যাওয়া আবশ্যক। তাই ঘরের বাইরে যেতে হলে এ গরমে লক্ষ্য রাখতে হবে বেশ কিছু বিষয়ের ওপর। গরমের এ সময় হিটস্ট্রোকের মাত্রা বেড়ে যায় কয়েকগুণ।
তাই যতটা সম্ভব নিজেকে রাখতে হবে গরমের এ সময় সুরক্ষিত। যারা বাইরে দিনের বেশিরভাগ সময় থাকেন তারা ব্যাগে রাখুন ছাতা, পানির বোতল, টিস্যু, ওয়েট টিস্যু, রুমাল, পারফিউম, সানগ্লাস, সানক্রিম, ছোট ফ্যান কিংবা হাতপাখা।
ছাতার বেলায় বর্তমানে ফোল্ডিং ছাতার কদর বেশি। খুব অল্প জায়গা লাগে বিধায় ফোল্ড করে ব্যাগের কোনায় রাখতে পারেন এ ধরনের ছাতা। তবে ভুলেও এ গরমে কালো রঙের ছাতা ক্যারি করবেন না যেন! এতে আপনার গরমের মাত্রা বেড়ে যাবে অনেক গুণ। ফ্লোরাল ডিজাইনের হালকা রঙের ছাতা থেকে এ গরমের বন্ধুকে আপনি বেছে নিতে পারেন।
গরমে শরীরের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন পানির। ঘাম হয়ে শরীর থেকে লবণ এবং পানি দুই-ই বের হয়ে যাওয়াতে ব্লাড প্রেসার হঠাৎ কমে যাওয়া কিংবা হিটস্ট্রোকের মতো দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। তাই সব সময় ব্যাগে পানির বোতল রাখুন। নিজের পানির বোতল সব সময় আলাদা রাখুন আর নজরে রাখুন যাতে দিনে অন্তত আট গ্লাস পানি আপনি পান করেন।
রুমাল অথবা টিস্যু ব্যাগে রাখুন সব সময়। এতে ঘাম মুছতে এবং গরমে ঘাম হলেও তার থেকে আরাম মিলবে অনেকখানি। অনেকেরই ত্বকে গরমে লাল লাল র্যাশ দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রে ওয়েট টিস্যু খুব ভালো কাজ করে ত্বককে সুরক্ষিত রেখে ঘাম মুছে নিতে।
গরমে ঘামের কারণে দুর্গন্ধ হওয়াটা স্বাভাবিক। তাই ব্যাগে পারফিউম রাখুন সব সময়, এতে আপনাকে সব সময় ফ্রেশ থাকতে সহায়তা করবে।
ব্যাগে আলাদাভাবে সানগ্লাস আর সঙ্গে রাখুন সানক্রিম। এতে রোদের তাপ থেকে আপনার চোখ এবং ত্বক দুই থাকবে সমানভাবে সুরক্ষিত।
গরমে জ্যামে বসে থাকা এখন নিত্যদিনের কাজ। এ সময় ঘাম হয় অনেক বেশি। তাই ব্যাগেই রাখুন ছোট ফোল্ডিং হাতপাখা। এর বাইরে ব্যাটারিচালিত হ্যান্ডফ্যান রাখতে পারেন ব্যাগে। এ ধরনের ফ্যান ব্যাটারি কিংবা চার্জের মাধ্যমেও আপনি ব্যবহার করতে পারবেন নির্দিষ্ট একটি সময় পর্যন্ত।