তাসলিমুল হাসান সিয়াম, গাইবান্ধা প্রতিনিধি: বাতাসে যেন আগুনের ঝাপটা । তেতে উঠেছে পথঘাট। বাইরে বের হলে শরীর পুড়ে যাচ্ছে। ঘরেও স্বস্তি নেই। কংক্রিটের ছাদ বা টিনের চালা বেয়ে যেন আগুন নামছে। রমজানে গাইবান্ধায় এমন তাপপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন রোজাদার, শ্রমজীবী মানুষ ও রোগীরা।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বৃষ্টির কোন দেখা নেই।তীব্র গরমে তাই নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে জনজীবন। প্রতিদিনই বাড়ছে তাপমাত্রা। পবিত্র এই রমজান মাসে ঘরে বাইরে, দিন কি রাত, প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা মানুষেরে। দিনের প্রখর সূর্যের তাপে রোজাদারসহ শিশু-বৃদ্ধসহ সব প্রানীজগতের অবস্থা কাহিল হয়ে পড়েছে। গত কয়েকদিন ধরে ৩৫ থেকে ৩৭ ডিগ্রির কাছাকাছি তাপমাত্রা বিরাজ করলেও তা আজ মঙ্গলবার ৩৯ ডিগ্রি ছুঁয়েছে ।
সূর্যের প্রখর তাপে ঘর থেকে বের হতে পারছেনা শ্রমিক, দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ।প্রচন্ড খরাতাপে ঘরে বাইরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কোথাও স্বস্তি নেই।
তীব্র তাপদাহের মধ্যে ছাতা মাথায় দিয়ে জমির আগাছা দমন করছে রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের কৃষক খুশি মন্ডল।
গাইবান্ধা শহরের আবেদ আলী নামে এক ফুটপাতের গেঞ্জি বিক্রেতা জানান, এবার রোজায় আলহামদুলিল্লাহ প্রথম দিক থেকে ভালোই আবহাওয়া ঠান্ডা ছিলো কিন্তু গত সপ্তাহ থেকে যে পরিমানের গরম পড়তেছে তাতে দিনের বেলা খোলা আকাশের নিচে ব্যবসা করা খুবই কষ্ট হচ্ছে।
এদিকে গরমের তীব্রতা থেকে একটু স্বস্তির আশায় পানিতে নেমে গোসল করছে শিশু কিশোররা।ফুলছড়ি উপজেলার বালাসীঘাট সংলগ্ন একটি গ্রামে দেখা যায় পানিতে খেলা করছে বেশ কয়েকজন কিশোর ।তারা জানান রোজার মধ্যে এতো গরম সহ্য হচ্ছিল না তাই পানিতে নেমে খেলা করছি ।
রমজানে তীব্র তাপদাহে সাবধান থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। গাইবান্ধা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা: সোহেল মাহমুদ বলেন সেহেরি ও ইফতারে লবণমিশ্রিত পানি বা স্যালাইন খেতে হবে । এই গরমে অনেক ধরনের মৌসুমি স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। সবাইকে রোদ এড়িয়ে সাবধানে চলা উচিত।