মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলা সংরক্ষিত বন এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একটি চশমা পরা হনুমানের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার লাঠিটিলার কমলছড়া এলাকায় হনুমানটি মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।
বন বিভাগের লাঠিটিলা বিটের দায়িত্বে থাকা বিট কর্মকতা মো. রুমিজ্জামান বলেন, হনুমানটি মারা গেছে। স্টাফকে দিয়ে এটি মাটি চাপা দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
গত বছরের ১লা অক্টোবর আরো একটি চশমাপরা হনুমানের মৃত্যু হয়। ১০ ফেব্রুয়ারি দিলখোশ চা বাগান এলাকায় সড়কের পাশে মৃত অবস্থায় একটি চশমা পরা হনুমান শাবককে পাওয়া যায়। সেটিরও মৃত্যু হয়েছিল বিদ্যুৎস্পৃষ্টে।
পাথারিয়া বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ টিমের সদস্য পরিবেশকর্মী খালেদুর রহমান সৈকত বলেন, এভাবে প্রতিনিয়ত চশমা পরা হনুমান মারা গেলে অচিরে সব হারিয়ে যাবে। এদের রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নেয়া জরুরি কতৃপক্ষের।
বন বিভাগ হনুমানসহ বিভিন্ন প্রজাতির বন্য প্রাণির চলাচলের জন্য বন বিভাগের উদ্যোগে ওই বনে ‘ক্যানোপি ব্রিজ’ স্থাপন করা হয়েছে। তবে ক্যানোপি ব্রিজগুলো এখনো বাবহার করতে দেখা যায়নি।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকতা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে কথা বলে বৈদ্যুতিক তারে কাভার প্রটেকশন দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। ভবিষ্যতে যেন আর কোনো দুর্ঘটনা না হয়। দূর্ঘটনা এড়াতে প্রানীদের বাঁচিয়ে রাখতে বৈদ্যুতিক তারের কাভার পড়ানো সময়ের দাবি।