ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর হত্যাকান্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুর ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি করেন তারা।
এতে উপস্থিত ছিলেন বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের শিক্ষার্থী ফুয়াদ হাসান, একই বিভাগের ২০২৪-২৫ বর্ষের নবীন শিক্ষার্থী রাফি, ফজলে রাব্বি, মোস্তাফিজুর রহমান, নাজমুল হাসান ও মাইনুল হাসান, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের আবির হাসানসহ অন্য শিক্ষার্থীরা।
এসময় শিক্ষার্থীদের ‘সাজিদ ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’; ‘আমার নিরাপত্তা কোথায়? সাজিদ হত্যার বিচার চাই’; ‘সাজিদের খুনিরা বাইরে কেন, রাষ্ট্রের কাছে জবাব চাই’; ‘ওয়ালিউল্লাহ ও আল মুকাদ্দাস ভাইয়ের সন্ধান চাই’‘,’ বিচার কি ঢাবি-ই পাবে, ইবি পাবে না?’; ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড হাতে দেখা যায়।
নবীন শিক্ষার্থী বলেন, ‘আজকে আমরা আমাদের ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী সাজিদ ভাইয়ের হত্যার বিচার চাইতে এসেছি। নবীন শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের প্রশ্ন জাগে এ ক্যাম্পাসে আমাদের নিরাপত্তা কতদূর? আমরা কি সাজিদ আব্দুল্লাহ হবো নাকি আমাদের ক্যাম্পাসের স্মরণীয় দিনগুলো তরুণদের বলতে পারবো? প্রশাসন ও রাষ্ট্রের কাছে আমরা জানতে চাই এই হত্যাকান্ডের বিচারিক প্রক্রিয়া কতদূর?’
কর্মসূচিতে শিক্ষার্থী ফুয়াদ হাসান বলেন, ‘সাজিদ আব্দুল্লার হত্যার ৪০ দিন পার হলেও এখনো জানা যায়নি কারা এই হত্যাকাণ্ড কী কারণে ঘটিয়েছে। ক্যাম্পাসে সবকিছুই এখন স্বাভাবিক। সাজিদকে যারা হত্যা করেছে, তারা এখনো মুক্ত আকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কাল যে এই খুনি আমাদের কাউকে খুন করবে না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। সাজিদ আব্দুল্লাহর হত্যা কোনো সাধারণ বিষয় নয়, এটি ইবির ১৮ হাজার শিক্ষার্থীর নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত। এটা একটা মৃত্যু উপত্যকা যেখানে ৪০ দিন হয়ে যায় কিন্তু হত্যাকারীকে শনাক্ত করা যায়না। সাজিদ হত্যার ৪০ দিন পরও খুনিদের ধরতে না পেরে এই রাষ্ট্র ও প্রশাসন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। সাজিদ আব্দুল্লার খুনিদের ফাঁসিতে ঝুলানো না পর্যন্ত আমরা থামবো না। প্রয়োজনে ইবি ক্যাম্পাস অতিক্রম করে যমুনায় চলে যাব, তবু সাজিদের হত্যাকারীদের ছাড়বো না।’
প্রসঙ্গত, গত ১৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ বর্ষের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর লাশ হল পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়। ভিসেরা রিপোর্ট অনুযায়ী তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। সাজিদ হত্যার বিচার ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হত্যাকান্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে প্রশাসন উচ্চতর তদন্তের সুপারিশ করেছে। তদন্ত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।