পবিপ্রবি প্রতিনিধি:
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) সৌহার্দ্য ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এবং ইয়ুথ ফর কেয়ার ও দ্য আর্থ-এর সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে পরিবেশ, জলবায়ু ও নবায়নযোগ্য শক্তি বিষয়ক একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
৫ জুলাই (শনিবার), বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের কনফারেন্স রুমে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্লাইমেট কানেক্টস-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সৌহার্দ্য ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের সম্পাদক তানজিদ হাসান জিসান। সুমাইয়া তাসনিম আশা ও মো. আসিফ-এর সঞ্চালনায় কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষদের শিক্ষার্থী আসিফুর রহমান নিয়াজ এবং আবিদা শারমিন নাজিয়া।
আসিফুর রহমান নিয়াজ তাঁর বক্তব্যে পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং নবায়নযোগ্য শক্তি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। আবিদা শারমিন নাজিয়া জনসম্পৃক্ততা বিষয়ে আলোকপাত করেন। শেষ বক্তা তানজিদ হাসান জিসান জলবায়ু সুবিচার ও নবায়নযোগ্য শক্তি গ্রহণে যুবসমাজের ভূমিকা, সামাজিক পরিবর্তনে তাদের অংশগ্রহণ এবং নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারে রোল মডেল হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন। প্রধান বক্তা মনে করেন, এ ধরনের কর্মশালা শিক্ষার্থীদের টেকসই ভবিষ্যতের জন্য উদ্ভাবনী সমাধান অনুসন্ধানে অনুপ্রাণিত করবে।
আয়োজকদের মধ্যে সাজ্জাদ হোসাইন তুহিন বলেন, “আমরা এই কর্মশালাটি আয়োজন করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত, যা পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে। এই সেশনটি কেবল শিক্ষার উদ্দেশ্যে নয়, অনুপ্রেরণার মাধ্যম হিসেবেও কাজ করেছে।” আরেক আয়োজক মুনতাসির মাহমুদ পুনম বলেন, “আমাদের এমন আয়োজন মানুষকে ভাবতে শেখায় যে পরিচ্ছন্ন বায়ু এবং নবায়নযোগ্য শক্তি একটি সমতাপূর্ণ, স্বাস্থ্যকর ও টেকসই সমাজের ভিত্তিপ্রস্তর হতে পারে।” আয়োজক আজমান ইমতিয়াজ মুরাদ বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, একত্রিত হয়ে আমরা এমন একটি ভবিষ্যতের কল্পনা করতে পারি, যেখানে প্রতিটি শ্বাস হবে পরিচ্ছন্ন এবং প্রতিটি স্থান হবে সবুজ।” আয়োজক কমিটি সকল আগ্রহীকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানায়। উল্লেখ্য, ক্লাইমেট কানেক্টস একটি যুব-নেতৃত্বাধীন জলবায়ুবিষয়ক প্ল্যাটফর্ম, যা শিক্ষা, উদ্ভাবন এবং কমিউনিটি এনগেজমেন্টের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় কাজ করে। সৌহার্দ্য ইয়ুথ ফাউন্ডেশন তরুণদের ইতিবাচক পরিবর্তনের নেতা ও প্রবক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে, যেখানে পরিবেশগত স্থায়িত্বে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।