জলঢাকা প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার ইজারাবিহীন খাসে যাওয়া মীরগঞ্জ পশু হাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার (৩ এপ্রিল) সরেজমিনে দেখা যায়, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে গরু ক্রেতা ও বিক্রেতাদের নিকট হতে ৬০০ টাকার রশিদ ও গরু প্রতি ২০০ টাকা চাঁদা সহ মোট ৮০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া পশু হাট পরিচালনা করার সময় প্রশাসনের তেমন কাউকে দেখা যায়নি, তবে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে দুইজন ইউনিয়ন উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে আসতে দেখা যায়।
তাঁরা হলেন গোলনা ইউনিয়ন উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম ও কাঁঠালী ইউনিয়ন উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। ইজারা আদায়ের মুল দায়িত্বে ছিলেন, জহুরুল ইসলাম। তিনি জানান, আমরা সঠিক সময়ে হাটে এসেছি। এছাড়া সংবাদকর্মীদের দেখে শতাধিক গরু ক্রেতা বিক্রেতা এগিয়ে এসে বলেন, গত ৩ হাটে শুধু মাত্র গরু ক্রেতার কাছে রশীদের ফি বাবদ ৬০০ টাকা নেওয়া হয়েছে। আর যারা গরু বিক্রেতা আছে তারা কোন চাঁদা দেইনি। কিন্তু আজকের হাটে গরু ক্রেতার কাছে রশীদের মাধ্যমে ৬০০ টাকা এবং বিক্রেতার কাছে বিধি পরিপন্থি অতিরিক্ত ২০০ টাকা চাঁদা নেওয়া হয়েছে
তাছাড়া হাটের লোকজন আমাদের কাছে জোরপূর্বক ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অতিরিক্ত ২০০ টাকা চাঁদা আদায় করছে। এর মধ্যে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেলে একদল লোক দৌড়ে এসে সংবাদকর্মীদের উপর চড়াও হয় এবং আক্রোশমুলক গালমন্দ করতে থাকেন। এছাড়াও বিভিন্ন হয়রানিমুলক মামলা এবং হত্যার হুমকি প্রদর্শন করেন। উপজেলা প্রশাসন সূত্র মতে, বাংলা ১৪৩২ অর্থবছরের জন্য জলঢাকা উপজেলার ২৬টি হাট-বাজার ইজারার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়।
এর মধ্যে ১৭টি হাট ইজারা হলেও ৯টি হাটে দরপত্র জমা না পড়ায় হাটগুলো খাস খতিয়ানে চলে যায়। এই হাটগুলো বর্তমানে উপজেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে থাকার কথা। মীরগঞ্জ ছাড়াও পাঠানপাড়া, হলদিবাড়ী নালারপাড়, জয়বাংলা, নবাবগঞ্জ, ডিয়াবাড়ী, বালারপুকুর চৌধুরীর হাটসহ ৯টি হাট খাসে রয়েছে।
এসব হাটে টোল আদায়ের জন্য প্রশাসন স্থানীয়ভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত জনবল ব্যবহার করার কথা থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, লিখিত ভাবে কাউকে হাট-বাজার দেওয়া হয়নি। কিন্তু খাস খতিয়ানের হাট-বাজারে কিছু লোকের সহযোগিতা নিয়ে টোল আদায় করা হচ্ছে। অতিরিক্ত ২০০ টাকা টোল আদায়ের কোন এখতিয়ার নেই। যদি এরকম কোন প্রমাণ আপনারা দিতে পারেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।