নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহবায়ক মাহবুবর রহমান চন্দনকে (৩২) জনসমক্ষে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ উঠেছে। আহত চন্দন বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি মোটরসাইকেল চালক সমিতির সভাপতি ও বারহাট্টাবাজারের বাসিন্দা মো. শামছ উদ্দিনের ছেলে।
সোমবার (১৭ মার্চ) বারহাট্টা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামরুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এরআগে গত রবিবার ইফতারির পরপর থানার কাছাকাছি এলাকায় এই ঘটনায় আব্দুল মোমেন (৩০) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার বড়ি প্রামের মঞ্জু মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইফতার শেষে বারহট্টা পূর্ববাজারের মোটরসাইকেল স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। হঠাৎই তাকে বেশ কয়েকবার ছুরিকঘাত করা হয়। আহত চন্দন কৌশলে আত্রমণকারীকে ঝাপটে ধরেন এবং তার চিৎকার শুনে লোকজন এগিয়ে আসেন। কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং মোমেনকে আটক করে। এই স্থানসহ আশপাশের এলাকায় যানবাহনে প্রক্যাশ্যে চাঁদাবাজি হয় বলে অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের।
চন্দন বলেন, মোমেন খুনের উদ্ধেশ্যে আমার উপর হামলা করেছে। সে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পলাতক কাজী সাখাওয়াত হোসেনের লোক। সে সাখাওয়াতের সহয়তায় অবৈধভাবে উপজেলা মোটরসাইকেল চালক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদ ভাগিয়ে নেয়। এরপর থেকে সে প্রতিদিন নিয়মবহির্ভূতভাবে প্রত্যেক চালকের কাছ থেকে দুইশো টাকা করে চাঁদা আদায় করতে থাকে।
গত ৫ আগস্টের পর থেকে আমি তার এই অপকর্মের বিরোধিতা করে আসছিলাম। এজন্য সে আমার প্রতি ক্ষিপ্ত। রবিবার (১৬ মার্চ) সকালে গিয়ে আবার দেখি সে চাঁদা তুলতেছে। তখন আমি বাধা দিলে তার সাথে আমার হাতাহাতি হয়। সন্ধ্যায় আমি মোটরসাইকেল স্ট্যান্ডে বসেছিলাম। তখন মোমেন আমার উপর ছুরি দিয়ে হামলা চালায়। তার সাথে আরো লোকজন ছিল। এ ব্যাপারে আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে বারহাট্টা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশীক আহমেদ কমল বলেন, যারা এধরণের ঘটনা ঘটিয়েছে তারা মূলত আওয়ামীলীগের দূসর। হত্যার উদ্দ্যেশেই চন্দনের উপর হামলা চালানো হয়েছে। আমরা উপজেলা বিএনপি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশের প্রতি আহবান জানাই।
অভিযুক্ত আব্দুল মোমেন পুলিশ হেফাজতে থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বারহাট্টা থানার ওসি মো. কামরুল হাসান বলেন, আহত সেচ্ছাসেবক দলের নেতার পক্ষ থেকে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত একজনকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত আছে।