বিপ্লব হোসেন, ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উদ্যোগে বায়োমেড ইনোভেটস ক্লাব গঠন করা হয়েছে। এতে বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক ড. খাইরুল ইসলাম সভাপতি মনোনীত হয়েছেন। কমিটিতে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মাহফুজুর রহমান সাকিলকে সহ- সভাপতি ও একই বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এয়াকুব আলীকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিভাগের ৫৯তম একাডেমিক মিটিংয়ে সহকারী অধ্যাপক ড.খাইরুল ইসলাম ক্লাবটির অনুমোদন দেন।
নবগঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম খান মুনির, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাতুল ফেরদৌস লিভা, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক মাশরুর আলম কাব্য,অর্থ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ,সহ অর্থ সম্পাদক আফ্রা আনজুম জেরিন, অফিস সম্পাদক অনিত চাকমা শুভ্র, প্রচার সম্পাদক মিনহাজুর রহমান মাহিন, গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সাকিব আল হাসান, খেলাধুলা বিষয়ক সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, ছাত্রকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার হাসান সাকিব ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক সুরাইয়া সুলতানা অনিকা।
এছাড়া কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে আসিফ সিদ্দিকী জিম, সেলিম খান, লাবিব রহমান, সায়েম হোসেন ও সুমাইয়া আক্তার রয়েছেন।
ক্লাবটির সহ-সভাপতি মাহফুজুর রহমান সাকিল বলেন,‘বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৫৯তম একাডেমিক মিটিং এর মাধ্যমে “বায়োমেড ইনোভেটস” ক্লাবটির যাত্রা শুরু,এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। আজকের এই আয়োজনটি আমাদের বিভাগের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।’
সভাপতি সহকারী অধ্যাপক ড.খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সকল এক্সট্রা কারিকুলাম কার্যক্রম যদি ক্লাবের মাধ্যমে করা যায়। তাহলে সকল শিক্ষার্থীদের নিয়ে আরো সহজভাবে এবং সবার উপস্থিতিতে ভালোভাবে কাজগুলো সম্পন্ন করা যাবে।বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ রিসার্চের দিকে বেশ অগ্রাণী ভূমিকা পালন করতেছে।সেক্ষেত্রে ক্লাবের মাধ্যমে আমরা যদি সকল শিক্ষার্থীদের কে সম্পৃক্ত করতে পারি তাহলে রিসার্চ এর দিকে আরো বেশী এগিয়ে যেতে পারবো। এছাড়াও খেলাধুলা সহ অন্যান্য বিভিন্ন কার্যক্রম ক্লাব এর মাধ্যমে করা যেতে পারে।’
প্রসঙ্গত, বায়োমেড ইনোভেটস ক্লাবের উদ্দেশ্য হলো বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভিন্ন ধারণা, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনাকে একত্রিত করে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সৃজনশীলতা ও নতুন চিন্তার বিকাশ ঘটানো। এই ক্লাবের মাধ্যমে ছাত্ররা তাদের পড়াশোনার সাথে বাস্তব জীবনে প্রয়োগযোগ্য জ্ঞান অর্জন করতে পারবে এবং তাদের বৈজ্ঞানিক গবেষণা, প্রকল্প এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।