তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের (বিয়ানীবাজার) অধিনায়ক লে. কর্ণেল মেহেদী হাসান পিপিএম বলেছেন, ন্যায্যতার ভিত্তিতে বিএসএফের সীমান্ত হত্যাকান্ডসহ প্রতিটি ঘটনার জোরালো প্রতিবাদ করে আসছে বিজিবি। সীমান্ত সুরক্ষায় বিজিবির সবধরণের সক্ষমতা রয়েছে। অনেক সময় অবৈধ অনুপ্রবেশকারিদের আটক করে শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে গোপনে পুষব্যাক করে থাকে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিএসএফ।
এসব অবৈধ অনুপ্রবেশকারিরা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আসার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় বিজিবি তাদের আটক করে। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এদের অনেকে অভিযোগ করেন, সীমান্তের ওপারে আটকের পর বিএসএফ তাদের উপর শারীরিক নির্যাতন চালায়। এসব অভিযোগ পেয়ে বিজিবি লিখিতভাবে জোরালো প্রতিবাদ জানায়। বরাবরই বিএসএফ তার বক্তব্যে অস্বীকার করে আসছে।
তবে, সম্প্রতি অবৈধ পুষব্যাক অনেকাংশে কমেছে। তিনি সীমান্তের জিরো লাইনের দেড়শ’ গজের ভেতর কোনো অবস্থায় কাউকে গরু চরাতে কিংবা যে কোনো কারণে প্রবেশ না করতে অনুরোধ জানান। তিনি শনিবার সকালে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী কুমারশাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়ন কতৃক আয়োজিত স্থানীয় বাসিন্দা, জনপ্রতিনিধি, পুলিশ সদস্য, ব্যবসায়ি ও সাংবাদিকদের নিয়ে জনসচেতনতা মুলক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরোও জানান, বিভিন্ন কারণে বিএসএস সীমান্তে টহল জোরদার করেছে। তাই সীমান্তবাসীকে সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। যে কোনো সন্দেহজনক কিছু পরিলক্ষিত হলেই তা দ্রুত বিজিবি’কে অবহিত করতে হবে। সভায় সীমান্ত চোরাচালান রোধ, সীমান্ত আইনের সুরক্ষা, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধসহ সবধরণের অপরাধ দমনে বিজিবি’কে সার্বিক সহযোগিতা করতেও তিনি সীমান্তবাসীদের প্রতি উদাত্ব আহ্বান জানান।
বিজিবি লাতু বিওপির কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার মঞ্জুর হোসেনের সভাপতিত্বে ও হাবিলদার রেজাউল করিমের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, স্থানীয় উত্তর শাহবাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক আব্দুস শহীদ খান, বড়লেখা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই তৌহিদুর রহমান, ইউপি সদস্য রফিক উদ্দিন, স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ি আনোয়ার হোসেন, আবুল হোসেন, আব্দুল বারি সহ বড়লেখা, জুড়ি প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।