নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনা কলমাকান্দায় সিধলী বাজার জামে মসজিদের রেকর্ড ভুক্ত জায়গা দখলমুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ হয়েছে। রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মসজিদের সামনের সড়কে এলাকাবাসীর ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
সিধলী বাজারে ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য দেন- মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মোহাম্মদ নুর উদ্দিন, সদস্য আবদুল কাইয়ুম, নয়ন খাঁ, মঞ্জুরুল হক ফকির, ব্যবসায়ী মো. মজিবুর রহমান, শাহজাহান কবির খান, হারিগাতী মহিলা মাদ্রাসার মেহতামিম মাওলানা মুরশিদ আলম সিরাজী, সিধলী বানিয়াপাড়া মিতালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অফিস সহকারী শামসুল হক প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে সিধলী বাজারের প্রধান সড়কগুলো ঘুরে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।
মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, প্রায় শতাধিক বছর পুরানো সিধলী বাজার জামে মসজিদের নামে ৩৬ শতাংশ জায়গা বিএস রেকর্ডভুক্ত। যার খতিয়ান ১৫২ ও দাগ নম্বর ৫৬৫। মসজিদ পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে সড়কের পাশে থাকা ১১টি দোকান ঘর ভাড়া দেয়া হয়। কিন্তু প্রায় দেড় দশক ধরে ওই দোকানের মালিকরা মসজিদের জায়গার দোকান ঘরগুলো নিজের দখলে নিয়ে যান বলে অভিযোগ ওঠেছে। বর্তমানে তাঁরা মসজিদকে কোন ধরনের ভাড়া দেওয়া থেকে বিরত রয়েছেন। মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে বারবার তাগদা দেওয়া হলেও ওই ব্যবসায়ীরা ভাড়া দিচ্ছেন না। তাঁদের মধ্যে মানিক মিয়া নামের একজন ভাড়াটিয়া নিষেধ অমান্য করে ওই জায়গায় দোতলা একটি ভবন নির্মাণ করেছেন। গত কয়েক বছর ধরে মসজিদের পক্ষ থেকে দোকানদারদের জায়গা দখলমুক্ত করার কথা বলা হলেও তা মানা হচ্ছে না। দখল মুক্তের প্রতিবাদে আজ রোববার বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন হয়।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি সাজল মিয়া বলেন, মসজিদের ২২ টি দোকান ঘর রয়েছে। এর ভাড়া দিয়ে মসজিদের উন্নয়নসহ ইমাম মোয়াজ্জেমকে বেতন দেওয়া হয়। দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর ধরে ১১টি দোকান ঘরের ব্যবসায়ীরা মসজিদকে ভাড়া দিচ্ছেননা। আমরা মানিক মিয়া, হবি খন্দকার, মনিরুজ্জামান লিটন, মো. রশিদ আবদুল খালেক, আরিফ খানসহ ওই ১১ জনকে মসজিদে জায়গা দখলমুক্ত করার তাগদা দেওয়া হলেও তাঁরা জায়গা ছাড়ছেন না।
সিধলী বাজারের ব্যবসায়ী মানিক মিয়া বলেন, আমি মসজিদের কোন জায়গা দখল করিনি। যেখানে ঘর করেছি সেটা আমার নিজের জায়গা। আর দোকানের সামনের কিছু অংশ বাজারে পেরিফেরিভুক্ত।
কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’