কূটনৈতিক পাসপোর্টের বদৌলতে ভারতে থাকার যে বৈধতা ছিল বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তা শেষ হতে চলেছে। অর্থাৎ তিনি তার কূটনৈতিক পাসপোর্টের মাধ্যমে ভারতে ৪৫ দিন থাকার যে অনুমতি পেয়েছিলেন সে মেয়াদের শেষ দিন হচ্ছে বৃহস্পতিবার। ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, শুক্রবার থেকে শেখ হাসিনা কোন আইনের বলে ভারতে থাকবেন। মঙ্গলবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, কূটনৈতিক পাসপোর্টের বদৌলতে শেখ হাসিনার ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ হলেও তাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেয়ার সম্ভাবনা নেই। তাহলে কোন বলে ভারতে থাকবেন শেখ হাসিনা? কোনো কোনো মহলের যুক্তি, হয়তো তিব্বতী ধর্মগুরু দালাই লামার মতো ‘সাময়িকভাবে’ রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়া হতে পারে। এ খবর দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম জি নিউজ। এতে বলা হয়, গণঅভ্যুত্থানের পর গত ৫ই আগস্ট দেশ ত্যাগ করে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। তার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছে বাংলাদেশ সরকার। ফলে ভারতে থাকার বিষয়টি এখন ভারতের সিদ্ধান্তের উপরেই নির্ভর করছে। শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পরই বিএনপি-সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল দাবি তুলেছে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে তার বিচার করতে হবে। হসিনার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই খুনের মামলা হয়েছে। এখন ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে না চাইলে কী করবে বাংলাদেশ, সেটিও বড় প্রশ্ন। এনিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মঙ্গলবার বলেছেন- কোন আইনে শেখ হাসিনা ভারতে রয়েছেন তা তারা জানেন না। ভারতের কাছে কিছু জানতে চায়নি ঢাকা। তবে ভারত চাইলে শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ভারতে রাখতে পারে।