বেনাপোলের ধান্যখোলা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বিজিবি সদস্য রইস উদ্দিনের লাশ আজ বুধবার সকাল ১১টায় শার্শার শিকারপুর সীমান্ত দিয়ে বিজিবির কাছে হস্থান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী। বিজিবির শিকারপুর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার মেইন পিলার ২৮ এস- এর কাছে লাশ গ্রহণ করা হয়।
৪৯ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল জামিল ও বিজিবির সহকারী পরিচালক মাসুদ রানা আনুষ্ঠানিকভাবে নিহত সদস্য রইস উদ্দিনের লাশ গ্রহণ করেন।
সোমবার ভোরে বেনাপোলের ধান্যখোলা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বিজিবির এক সদস্য নিহত হওয়ার প্রতিবাদে বিজিবি গতকাল মঙ্গলবার বিএসএফকে প্রতিবাদ পত্র পাঠায়। বিজিবি মোহাম্মদ রইস উদ্দিনের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছে জানিয়েছে বিজিবি কর্তৃপক্ষ।
লে. কর্নেল জামিল জানান, নিহতের প্রথম জানাজা যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নে অনুষ্ঠিত হয়। পরে সেখান থেকে হেলিকপ্টার যোগে লাশ তার গ্রামের বাড়ি চাপাই নবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় তার পরিবারের কাছে হস্থান্তর করা হবে। যশোর লাশ গ্রহণকালে বিজিবির অন্যান্য সদস্যরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকায়।
উল্লেখ্য, গত সোমবার ভোরে বিএসএফ সদস্যরা বেনাপোলের ধান্যখোলা সীমান্তে ঢুকে সিপাহী রইস উদ্দিনকে গুলি করে হত্যা করে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ধান্যখোলা সীমান্ত এলাকা দিয়ে সোমবার ভোরে চোরাকারবারীরা বেশ কিছু গরু পাচার করে নিয়ে আসছিল। বিষয়টি টের পেয়ে বিএসএফ চোরকারবারীদের ধাওয়া করে বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকে পড়ে। বাংলাদেশে ঢুকে পড়া বিএসএফ সদস্যদের দেখে এ সময় বিজিবি সদস্য সিপাহী রইস উদ্দিন সামনে এগিয়ে যান।
রইস উদ্দিন বিএসএসফ সদস্যদের কাছে নিজেকে বিজিবি সদস্য পরিচয় দেন এবং ঘটনার ব্যাপারে জানতে চান। পরিচয় পাওয়ার পরও বিএসএফ সদস্যরা তাকে গুলি করে আহত করে। পরে বিএসএফ রইস উদ্দিনকে নিয়ে বনঁগাও হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বিকেলে রইস উদ্দিনের মৃত্যু হয় বলে জানায় বিজিবি।