কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : নেত্রকোণার শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেহাবি) গাড়ি চালক পদে চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে প্রতিকার পেতে থানায় অভিযোগ দেন জেলার বারহাট্টার বিক্রমশ্রী গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে মো. আলআমিন (২৬)।
অভিযুক্ত বারহাট্টার আশিয়ল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস. এম. সাজ্জাদুল হক (সবুজ) (৫৫)।
বৃহস্পতিবার সকালে অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বারহাট্টা থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’ এরআগে গত ২৭ ডিসেম্বর থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দেন বলে জানান অভিযোগকারী মো. আলআমিন।
অভিযোগে জানা যায়, অভিযোগকারীর সাথে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত। প্রায় সময় অভিযোগকারীর খোঁজ খবর নিতেন এবং তাকে চাকুরির জন্য আবেদন করতে বলতেন প্রধান শিক্ষক সবুজ মাষ্টার। কথামত শেহাবিতে গাড়ী চালক (ড্রাইভার) পদে অভিযোগকারীর আবেদনপত্রটি সবুজ মাষ্টার নিজে জমা দেন এবং এ পদের জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করেন। গত বছর জুনের এক তারিখ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বারহাট্টা স্টেশন রোডে কাঞ্চনের দোকানে মো. কাঞ্চন মিয়া (৩৫), মো. গোলাম রব্বানী (২২), পলাশ বিশ্বাস (২৩) ও শাহিনুর রহমান শাহিনের (৪৫) উপস্থিতিতে সমুদয় টাকা দেন এবং চাকুরি দিতে না পারলে এই টাকা ফেরত দিবেন বলে অভিযোগকারীকে আশ্বস্থ করেন সবুজ মাষ্টার।
অভিযোগকারী চাকুরি তো পেলেন না, টাকাও ফেরত পেলেন না। টাকা ফেরতের জন্য অভিযোগকারী ফোন দিলে কল রিসিভ করেন না এবং দেখা হলে, দেই-দিচ্ছি বলে এখানো টাকা ফেরত দেন নাই সবুজ মাষ্টার।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক এস. এম. সাজ্জাদুল হক (সবুজ) বলেন, আমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেওয়ার বিষয়টি জানা নেই। আপনি (প্রতিবেদক) অভিযোগকারী হিসেবে যে আলআমিনের নাম বললেন, সে ব্যক্তি হামলা করে আমার মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেওয়া অভিযোগে অভিযুক্ত।