মোঃনাজমুল হোসেন বিজয়।বরগুনা জেলা প্রতিনিধিঃ
বরগুনা সদর উপজেলার ৩ নং ফুলঝুরি ইউনিয়নের গুদিঘাটা গ্রামের একটি বাড়িতে হাফিজুর (১০) নামে একটি শিশু খুন হয়েছে।অপরজনকে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শের-ই- বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু হয়।
জানা যায়, রিগান নামে ওই নারীর সঙ্গে সম্প্রতি তার স্বামীর ছাড়াছাড়ি হয়েছে। তারপর থেকে তিনি বাবার বাড়ি থাকতেন। ইলিয়াস দীর্ঘদিন ধরে তাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে ওই নারী, তার মেয়ে ও প্রতিবেশীর ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে ঘুমাচ্ছিলেন।
গভীর রাতে ইলিয়াস ওই বাড়িতে গিয়ে নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তখন বাধা দিলে তাকে কুপিয়ে জখম করেন। এ সময় তাকে বাঁচাতে দুই শিশু এগিয়ে এলে তাদেরকেও কুপিয়ে পালিয়ে যান ইলিয়াস।
এতে ঘটনাস্থলেই এক শিশুর মৃত্যু হয় এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে অপরজনও মারা যায়। রিগান দীর্ঘদিন যাবৎ বাবার বাড়িতে ২ বছর ৯ মাস বয়সের শিশু কন্যাসন্তানকে নিয়ে অবস্থান করছিলো। শিশু সন্তান নিয়ে নির্জন বাড়িতে থাকতে ভয় লাগছিলো বলে পাশের বাড়ির হাফিজুর (১৩) নামে একটি ছেলে তাদের ঘরে এসে ঘুমায়। বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) রাত আনুমানিক ১২ টার দিকে রিগানের দুলাভাই অর্থাৎ বড় বোনের স্বামী ইলিয়াস অসৎ উদ্দেশ্যে ঐ বাড়িতে এসে দরজা খুলতে বলে। রিগান নিজের নিরাপত্তার জন্য দরজা খুলতে অস্বীকৃতি জানালে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে শ্যালিকা রিগানের সাথে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ঘরে ঘুমোতে আসা প্রতিবেশি হাফিজ বাধা দিতে গেলে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে ইলিয়াস। রিগান ও রিগানের শিশু কন্যাটিকেও কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। ওদের ডাক চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে ইলিয়াসকে ধরে ফেলে।
উন্নত চিকিৎসার জন্য রিগান ও তার শিশু কন্যাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে পথেই শিশু কন্যাটিরও মৃত্যু হয়।
এই ঘটনার খবর পেয়ে বরগুনা থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ধৃত ইলিয়াসকে থানায় নিয়ে আসে এবং মৃত হাফিজুরের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নিহতদের মধ্যে তিন বছরের শিশুটি আহত নারীর মেয়ে। ১৩ বছর বয়সি আরেক শিশু ওই নারীর প্রতিবেশীর ছেলে। গ্রেপ্তার ইলিয়াস পহলান (৩০) একই উপজেলার বাসিন্দা এবং আহত নারীর বড় বোনের স্বামী। মূল আসামি ধরা পড়েছে। আমরা তদন্তকরে প্রকৃত দোষীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসবো।