ধনী হতে কে না চায়। চাকরি বা ব্যবসা যে পেশায়ই মানুষ থাকুক না কেন ধনী হওয়ার বাসনা সবারই। কিন্তু সবার পক্ষে ধনী হওয়া সম্ভব নয়।
বর্তমান বিশ্বের অর্ধেক মানুষের সমান সম্পদের মালিক মাত্র দুই হাজার মানুষ। যাদের শীর্ষ ধনী বলা হচ্ছে। তারা যা সম্পদ তা ভারতের বাজেটের চেয়ে বেশি। ১০০ কোটি গরিবের যে সম্পদ রয়েছে তারচেয়ে চারগুণ বেশি সম্পদের মালিক এই দুই হাজার ব্যক্তি।
তবে এমন ধনী হওয়ার আশা আমরা যদি নাও করি তবুও তুলনামূলক বেশি সম্পদের মালিক হতে চাই। তবে সম্পদের মালিক হতে গেলে জীবনের অনেক অভ্যাস বদলে ফেলতে হবে।
আসুন জেনে নেই যেসব কাজ ঠিকঠাক করতে পারলে বা অনুসরণ করলে বুঝতে হবে সম্পদ ধরা দেবে :
১. স্বপ্নকে অনুসরণ:
যারা ভালো কিছু করার চেষ্টা করেন তার জীবনের স্বপ্ন পূরণের জন্য কাজ করেন। তারা স্বপ্নকে অনুসরণ করে জীবন পরিচালিত করেন। ফলে স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন।
২. প্রতিদিন শেখা:
সফল মানুষরা প্রতিদিনই নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করেন। ৮৮ ভাগ ধনী লোক প্রতিদিন ৩০ মিনিট বা তারও বেশি সময় কঠোরভাবে জানতে এবং নিজেকে শিক্ষিত করতে ব্যয় করেন।
৩. চিন্তা নিয়ন্ত্রণ:
আপনি বড় চিন্তা করতে পারেন। আপনার একটি বড় কল্পনা শক্তি আছে। আপনি যা কিছু করছেন তার মালিক আপনিই। ৯১ ভাগ ধনী ব্যক্তি নিজেই সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী।
৪. দায়িত্বশীলতা:
দায়িত্বজ্ঞান থেকে আপনি লজ্জা পান না। বস্তুত আপনি সুযোগ খোঁজেন, যা আপনাকে আরো দায়িত্ববান করে।
৫. ঝুঁকি গ্রহণ:
আপনি সতর্ক এবং ঝুঁকি নিতে বেপরোয়া নন। সতর্ক ঝুঁকি গ্রহণকারী তাদের বাড়ির কাজ করেন, নতুন ধারণা এবং উদ্যোগ তাদের একটি ব্যবসার মধ্যে চালু করার আগে ঝুঁকি নিতে তারা দক্ষতা এবং জ্ঞানকে কাজে লাগান।
৬. পদক্ষেপ নেন:
আপনি কোনো পদক্ষেপ নিতে ভীত নন। সফলতার জন্য আপনাকে পদক্ষেপ নিতে হবে। বসে থাকলে বা শুধু চিন্তা করলে কখনোই সফল হওয়া যাবে না।
৭. ব্যর্থতা জয় করা:
একবার ব্যর্থ হলে থেমে যাওয়ার উপায় নেই। ব্যর্থতাকে আপনি অভিজ্ঞতা অর্জন ছাড়া অন্য কিছু হিসেবেই দেখছেন না। তাহলে বুঝবেন ধনী হওয়া যাবে।
৮. আউটওয়ার্ক করা:
ধনী ব্যক্তিরা দিন, সপ্তাহ, মাস এবং বছরব্যাপী কাজ করতে ভীত নন। ধনী ব্যক্তিরা সপ্তাহে গড়ে ১১ ঘণ্টা বেশি কাজ করেন ধনহীনদের তুলনায়।
৯. দৃঢ়সংকল্প:
লক্ষ্য পূরণের জন্য ক্রমাগত দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হতে হবে এবং লক্ষ্যের পেছনে ছুটেন জীবনে নিজেকে সামনে এগিয়ে নিতে। ধনীদের ৮০ ভাগই লক্ষ্য কেন্দ্রীক। তারা লক্ষ্য অর্জনে অভ্যস্ত হতে অভ্যাস গড়ে তোলেন।
১০. প্রত্যাশাকে অতিক্রম:
প্রত্যাশাকে অতিক্রম করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি অন্যদের প্রত্যশাকে অতিক্রম করার চেষ্টা করেন। তাহলে ধনী হওয়া যাবে।
১১. সম্পর্কে অন্ধবিশ্বাসী:
আপনি যদি অন্যের জন্মদিনে ফোন করে বা এমনিতে ফোন করে অন্যের খোঁজ খবর নেন তাহলে আপনার যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। আপনার মূল্যবান সম্পর্ক আপনার জন্য নানা দ্বার খুলে দেবে। সম্পর্ক আপনার কাছে মুদ্রার মতো।
১২. অন্যকে প্রাধান্য:
লোকজন আপনাকে পছন্দ করে। তারা আপনার সঙ্গে কাজ করতে এবং ব্যবসা করতে পছন্দ করে। আপনি লোকদের প্রফুল্ল হতে, সুখী, উৎসাহী এবং আশাবাদী করে তোলেন।