যেকোনো সময় হঠাৎ করে তীব্র মাথা ব্রথায় ভুগে থাকেন অনেকেই। বিভিন্ন কারণে মাথা ব্যথা হতে পারে। তবে মাইগ্রেন হলো এক বিশেষ ধরনের মাথাব্যথা। এই ব্যথা মাথার যেকোনো একপাশ থেকে শুরু হয়। আস্তে আস্তে পুরো মাথায় ছড়িয়ে পড়ে তীব্র ব্যথা ও যন্ত্রণা।
এতে মস্তিষ্কে স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহ ব্যাহত হয়। মস্তিষ্কের বাইরের আবরনে যে ধমনী আছে, সেগুলো মাথাব্যথার শুরুর দিকে ফুলে ওঠে। আর মাথাব্যথা যতই বাড়তে থাকে বমি বমি ভাব এমনকি রোগীর দৃষ্টিবিভ্রম পর্যন্ত ঘটতে পারে।
আসলে যিনি মাইগ্রেনের ব্যথায় ভুগেন; তিনিই জানেন এটি কতটা কষ্টকর। নারী-পুরুষ সবারই মাইগ্রেন হতে পারে। তবে নারীদের মহিলাদের বেশি হয়ে থাকে।
মাইগ্রেন জিনগত এক রোগ। পরিবারের কারও থাকলে, এটি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মস্তিষ্কের ট্রাইজেমিনাল নার্ভ উত্তেজিত হলে এই ব্যথা শুরু হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, মস্তিষ্কের সেরেটোনিন নামক কেমিকেলের ভারসাম্য বিঘ্নিত হওয়ায় মাইগ্রেনের ব্যথা হয়ে থাকে।
এ ছাড়াও যেসব নারীরা ওরাল কনট্রাসেপটিভ পিল খান; তাদের ক্ষেত্রেও এই মাথাব্যথার সমস্যা বেড়ে যায়। আবার অনেক নারীর জরায়ু অস্ত্রোপচারে পরে হরমোন থেরাপির কিছু ওষুধ দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রেও মাইগ্রেনের দেখা দেয়।
তবে কিছু খাবার আছে, যেগুলো নিয়মিত থেলে মাইগ্রেনের ব্যথা থেকে দ্রুত মুক্তি মিলবে-
ওটস্: রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ওটস। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফলে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলে মাইগ্রেনের ব্যথা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
ভিটামিন বি-২: পাশাপাশি ভিটামিন বি-২ এর পরিমাণ বাড়াতে হবে। এর ফলে মাইগ্রেনের ব্যথা কম হয়। মাছ, মাংস, ডিম, দুগ্ধজাত খাদ্য, চিজ, বাদামে ভিটামিন বি-২ এর পরিমাণ বেশি মাত্রায় থাকে।
হার্বাল চা: মাথাব্যাথার সময় অনেকেই চা খেয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে হারবাল চা খুবই উপকারী। এজন্য আদা কুঁচি ও লেবু দিয়ে চা খেলে ব্যথার পরিমাণ অনেকটাই কমে যায়।
গোলমরিচ: এতে থাকা বিভিন্ন পুষ্টিগুণ মাইগ্রেন থেকে রক্ষা করে। এক কাপ গরম পানিতে গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে। সঙ্গে মধু আর লেবুও মিশিয়ে নিতে পারেন।