লেখকঃ শুভ তংচংগ্যা।
বিশ্বে প্রকৃত শিক্ষা গ্রহন করে মানবতার প্রেম গড়ে তুলতে হবে।
প্রকৃত শিক্ষা গ্রহন করে বিশ্বের মানবতার প্রেম গড়ে তোলা আমাদের একান্ত প্রয়োজন। ব্যক্তির মানবতা বোধ জাগ্রত করা তথা বিশ্বের মানবতা প্রতিষ্ঠাতা আমাদের করতে হবে। বর্তমানে সমাজে দেখা যাচ্ছে যারা স্কুল – কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়চ্ছে তারা আজকেই অহংকার করে মানুষেকে দেখায় আর যারা সরকারি বা বেসরকারি চাকরি করে বা কিছু ক্ষমতা থাকলে সে ক্ষমতা নিয়ে নিজেকে অনেক বড় মনে করে। তাই আমাদের প্রথমে প্রকৃত শিক্ষা গ্রহন করে বিশ্বের মানবতা প্রেম গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষা প্রতিটি মানুষের একান্ত প্রয়োজন। শিক্ষা লাভের পর মানুষের আচার-আচরণ, নিয়মনীতি এমন কি সব কিছু পরিবর্তন দেখা যায়। কিন্তু বর্তমানে আমাদের চারপাশে তাকালে দেখতে পাই আজ আমাদের সমাজের অবস্থা। অনেকেই বলে মানুষ নাকি সৃষ্টির সেরা জীব আমার মতে যারা প্রকৃত শিক্ষা অর্জন করতে পারে নাই তারা কখনো সৃষ্টির সেরা জীব হতে পারে না। যে মানুষ বুদ্ধিমান, মেধাবী, চিন্তাশীল, সুস্থ, ভালো চরিত্র, অপরের প্রতি শ্রদ্ধা ইত্যাদি থাকে সে সকল মানুষকে বলব সৃষ্টির সেরা জীব। আর যে মানুষের ভালো চরিত্র নেই , মানবতা নেই, অপরের প্রতি শ্রদ্ধা নেই, তার প্রকৃত শিক্ষা ও নেই, তাই সেই রকম মানুষকে আমরা বলতে পারব তারা পশুর সমান। আর সে মানুষ কখনো সৃষ্টির সেরা জীব হতে পারে না। জীবনে যারা স্কুল- কলেজে- বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করার পরেও তার আচার-আচরণ, নিয়মনীতি, চিন্তাভাবনা পরিবর্তন দেখা না দিয়ে যদি পশুর মত আচার-আচরণ, মারামারি, দুর্নীতি করে, নিজেকে বড় মনে করে অন্যকে ছোট মনে করে তাহলে সে স্কুল -কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করে ও প্রকৃত শিক্ষা অর্জন করতে পারে নাই। তাই আমাদের সে সব ভ্রান্ত চিন্তাগুলো বাদ দিয়ে সবসময় ভালো কাজে করতে হবে ভালো গুণ অর্জন করতে হবে।
মানুষ হচ্ছে একটা জীবন্ত পুতুল। মানুষ বিভিন্ন অঙ্গ – প্রত্যঙ্গ দিয়ে গঠিত। আমাদের দেহের রয়েছে বায়ু, তাপ, তরল ইত্যাদি। এগুলো আমাদের দেহকে রক্ষা করে, যেমন বায়ু যা আমরা বায়ু ছাড়া এক মূহুর্ত বাঁচতে পারি না। তাপ ব্যতীত শরীলে সকল উপাদান রাসনিক এবং তরল পদার্থ পানি, রক্ত ইত্যাদি এগুলো আমাদের দেহের খুবই উপকারী। মানুষ সাধারণ কাজের উপর নির্ভশীল। কোন মানুষ কাজ ছাড়া এক মূহুর্তের জন্য অবস্থান করতে পারে না। কাজই মানুষের সুখ, দুঃখ নিয়ন্ত্রণ করে। মানুষের সুখ, দুঃখের জন্য নিজেই দায়ী অন্য কেউ নয়। কাজ সাধারণত দুই প্রকার ১/ভালো কাজ ২/ খারাপ কাজ। যে সকল কাজ করলে নিজেরও ভালো হবে এবং অপরের ও ভালো হবে সে সকল কাজক ভালো কাজ বলে। আর যে কাজ নিজের ভালো হলেও অপরের ক্ষতি হয় সে সব কর্মকে খারাপ কাজ বলে। যেমন মাদক ব্যবসা। যারা মাদক ব্যবসা করে তারা লক্ষ লক্ষ টাকা পাই ফলে সে অনেক বড়লোক হয়ে যায়, আর সে মাদক ব্যবসা কারণে আজকে নষ্ট হচ্ছে সমাজ, নষ্ট হচ্ছে দেশ, নষ্ট হচ্ছে মানব জাতি। তাই আমরা মানুষ হিসেবে সব সময় আমাদের ভালো কাজ করতে হবে। যারা ভালো কাজ করে না সমাজের অন্যায়ের সাথে যুক্ত থাকে সে সকল মানুষ প্রজাপতি থেকে শিক্ষা নিতে হবে। তারা কিরুপ অবস্থায় আছে কিভাবে বসবাস করতেছে তাদের প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করা আবশ্যক। প্রকৃত শিক্ষা এমন একটি শিক্ষা যেখানে থাকবে না মারামারি, ঘুষ, দুর্নীতি, জাতির বেদ, ধর্ম বেদ, দেশ বেদ ইত্যাদি এইখানে থাকবে শুধু একটা শ্লোগান আমরা সবাই মানবজাতি তাই আমাদের মানবতার বিশ্বে গড়ে তুলতে হবে।
আবার অনেকে প্রশ্ন হতে পারে আমি ভালো কাজ করে জীবনের কিছু পেলাম না আর যারা খারাপ কাজ করে তারা কোটি কোটি টাকা মালিক। তাদের উদ্দেশ্য করে বলতে চাই আমরা জানি ভালো কাজ করলে তাকে সবাই ভালোবাসে এমনকি সৃষ্টিকর্তা ও ভালোবাসে আর অন্যদিকে খারাপ কাজ করলে পাপ হয় তাকে সবাই ঘৃণা করে। মনে রাখবেন প্রত্যেক কাজ পরিপূর্ণ না হলে ফল দেখা যায় না। যেমন আমগাছ আজকে রোপণ করে আজকে বা পরে দিন ফল দেয় না গাছটি সময় মত পরিপূর্ণ হলে ফুল আছে এবং নির্দিষ্ট সময়ে ফলগুলো পাকে। ফলে সে আম গাছের ফলগুলো ভোগ করতে পারে। গাছ ফল দেবে কখন সেটা না ভেবে গাছ রোপন করুন দেখবেন গাছটি সময় পরিপূর্ণ হলে ফল দেবে। ঠিক আপনি ও ভালো মানুষ কখন কিভাবে হবেন সেটা না ভেবে ভালো কর্ম করুন ভালো গুণ অর্জন করতে হবে। আসুন ভাষা, জাতির, দেশের জন্য দিতে না ইউক প্রাণ,
আমরা সবাই পৃথিবীর মানব সন্তান। আর নয় বৌদ্ধ, মুসলিম, হিন্দু, খৃষ্টান, বাংলাদেশ, নয় ভারত, পাকিস্তান, চীন, জাপান, নয় ভাষার, জাতির, প্রেম গড়ে তুলি বিশ্বপ্রেম। সৃষ্টি করি একটি নতুন ইতিহাস যেখানে থাকবে না আর হত্যার পরিহাস।